ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে পারবেন শফিউল-তাইজুল ?
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডেতে পাওয়া চারটি জয়ের ক্ষেত্রে ব্যাটে-বলে আছে অনেকের অবদান। কিন্তু সবচেয়ে বড় মিলটা কী জানেন? মিডল ও লোয়ার অর্ডারের দারুণ ব্যাটিং। কাল ৩৩ রান করার লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামবে বাংলাদেশ। আশার শিখা হয়ে দপ দপ করছেন ৫৯ রানে অপরাজিত সাব্বির রহমান। ১১ রান করে আছেন তাইজুলও। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে নামবেন শফিউল। বাংলাদেশ কী পারবে সেই পুরনো কীর্তির পুনরাবৃত্তি করতে?
২০১১ সালের বিশ্বকাপ। এই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেই ইংল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ। ২২৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো ধুঁকছে। ১৬৯ রানে নেই ৮ উইকেট। জয়ের জন্য এখনো প্রয়োজন ৫৭ রান, হাতে আছে দুই উইকেট। ক্রিজ্র এক পাশে স্বীকৃত ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ, অন্যপাশে শফিউল ইসলাম। পাঠক, বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের সঙ্গে কিছু মিল পাচ্ছেন কী?
এই অসম্ভব অবস্থায় অনেকেই হয়ত টিভি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু যাঁরা করেননি তাঁরা সাক্ষী হয়েছিলেন এক মহাকাব্যিক বিজয়ের। নবম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৫৮ রানের জুটি গড়ে মাহমুদউল্লাহ ও শফিউল বাংলাদেশের হয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। যেখানে মাহমুদুল্লাহর চেয়ে শফিউলের অবদানই ছিল বড়। ৪২ বলে অপরাজিত ২১ রান করা মাহমুদউল্লাহকে ছাপিয়ে ২৪ বলে ২৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন শফিউল। যেখানে ৪ টি চারের পাশাপাশি ছিল ১টি ছক্কাও। ছয় বল বাকি থাকতেই জিতে যায় ‘হেরে যাওয়া’ বাংলাদেশ।
কাল সকালে ঠিক এমনই অবস্থায় আবারও ব্যাট করতে নামবে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে ১৫ রানের জুটিও হয়েছে সাব্বির-তাইজুলের মধ্যে। আর তাইজুলের তো টেস্টে ব্যাট হাতে দলকে জেতানোর কীর্তি আছে। দুই বছর আগে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ঢাকা টেস্টে মুশফিককে দিয়েছিলেন যোগ্য সঙ্গ। নিজে শেষ পর্যন্ত ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন, বাংলাদেশকে ৩ উইকেটের জয় এনে দিয়েই মাঠ ছেড়েছিলেন।
আজও সেরকম কিছুর পুনরাবৃত্তি করতে হবে। পুরো বাংলাদেশের প্রার্থনা থাকবে যেন এই জুটিই অবিচ্ছিন্ন থেকে বাংলাদেশকে বিজয়ীর রাজটীকা পরাতে পারে। সেদিনের ‘শফিউল’ নাহয় কাল তাইজুলই হলেন। মাহমুদউল্লাহর জায়গায় তো সাব্বির আছেনই।