• ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    তাইজুলে আস্থা ছিল মুশফিকের

    তাইজুলে আস্থা ছিল মুশফিকের    

    ৩৩ রানের লক্ষ্য সামনে রেখে কাল ঘুমুতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। উইকেটে সাব্বির রহমানের সঙ্গে তাইজুল ইসলাম থাকলেও ভরসাটা ছিল আসলে ২৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের ওপরেই। কিন্তু আজ সকালে ব্যাট হাতে অনেকগুলো বল খেলতে দেখা গেল তাইজুলকেই। কেন? অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম মনে করেন পুরো ৩৩ রান একা করাটা সম্ভব ছিল না সাব্বিরের জন্য। এজন্যই তাইজুলের ওপর ভরসা করেছিলেন তাঁরা।

    দিনের খেলা হয়েছে মাত্র তিন ওভার। তার ১০টি খেললেন ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। বাকি ৮টি বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এরমধ্যে ৮১তম ওভারের শেষ বলে রান নিয়ে নিলেন পরের ওভারের স্ট্রাইক। সে ওভারে আর কোনো সুযোগ দিলেন না বেন স্টোকস। প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ তাইজুল। এক বল পরে একাদশ ব্যাটসম্যান শফিউল ইসলামকে শিকার বানিয়ে বাংলাদেশকে স্বপ্নভঙ্গের যাতনায় পুড়িয়েছেন বেন স্টোকস।

     



    সংবাদ সম্মেলনে তাই প্রশ্ন উঠলো উইকেট নেশায় মত্ত ইংলিশ পেসারদের সামনে তাইজুল-শফিউলদের ঠেলে দেওয়া ঠিক হয়েছে কী না, তা নিয়ে। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম জানিয়েছেন সিদ্ধান্তটা ভেবেই নেয়া। তিনি মনে করেন সাব্বিরের একার পক্ষে সব রান করাটা অসম্ভব ছিল, “ ৩৩ রান তো সাব্বির একা করতে পারবে না। তাইজুল খুব খারাপ খেলে, তাও না। এটা যদি শেষ উইকেট হলে ভিন্ন কথা ছিল।”

    কিন্তু সাব্বির আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে খেললে কী ফলটা অন্যরকম হতে পারতো না? স্টুয়ার্ট ব্রডের করা ৮১তম ওভারের শেষ বলেই কেন বা সিঙ্গেল নেয়া? খটকাটা পরিষ্কার করে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়কের, “সাব্বির যদি বাড়তি ঝুঁকি নিতে গিয়ে আউট হতো, তাহলে খেলা আরও আগেই শেষ হত। গত কাল শেষ দিকে তাইজুল খুব ভালো খেলছিল, আজও শুরুটা খুব ভালো করেছিল। এই জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যে, যদি রান হয় রানটা নিয়ে নেওয়া।”

    কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক জানেন তাইজুল-শফিউলদের জন্য কাজটা আসলে কত কঠিন ছিল, “ম্যাচ প্রায় ৯০ ভাগ ওদের দিকে হেলে ছিল। ওদের টেলএন্ডাররা অনেক ভালো,। ১১ জনেরই ফার্স্ট ক্লাস সেঞ্চুরি আছে। আমাদের তেমন কেউ নেই। আমাদের কারও সেঞ্চুরি থাকলেও ওদের সেঞ্চুরির সঙ্গে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের সেঞ্চুরির আকাশ-পাতাল ফারাক।”