• ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজ
  • " />

     

    "চট্টগ্রামের জয় অ্যাশেজের সমান"

    "চট্টগ্রামের জয় অ্যাশেজের সমান"    

    ইংল্যান্ডের জন্য অ্যাশেজ শুধুই একটি টেস্ট সিরিজ নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঐতিহাসিক আবেগ। শত বছরের পুরনো এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা যে পরিমাণ আগ্রহের সৃষ্টি করে ইংল্যান্ডজুড়ে তা অতুলনীয়। স্নায়ুক্ষয়ী উত্তেজনার চট্টগ্রাম টেস্টকে সেই চূড়ান্ত আবেগের অ্যাশেজের সঙ্গে তুলনা করেছেন জনি বেয়ারস্টো। এতেই বোঝা যাচ্ছে ২২ রানে জেতা ম্যাচটি ইংল্যান্ডের জন্য কতটা মাহাত্ম্যপূর্ণ।  

    ২০১৩ সালের অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট। টেন্টব্রিজে একাদশ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমে ৯৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন স্পিনার অ্যাশটন আগার। ম্যাচটাও বের হয়ে যাচ্ছিল ইংল্যান্ডের মুঠো গলে। কিন্তু সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় অ্যালিস্টার কুকের দল। দাঁতে দাঁত চেপে ম্যাচটা জিতে যায় ১৪ রানে। চট্টগ্রাম টেস্ট জিতেও অ্যাশেজের সেই রুদ্ধশ্বাস জয়ের সৌরভ পেয়েছেন ইংলিশ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান বেয়ারস্টো। বলেছেন এই টেস্ট জয় তাঁর দেখা অন্যতম সেরা।


    জয়ের পেছনে বোলারদের অবদানটাই বেশি দেখছেন বেয়ারস্টো। প্রথম ইনিংসে ভালো অবস্থানে থেকেও হঠাৎ খেই হারায় বাংলাদেশের ব্যাটিং। ২৭ রানে শেষ ৬ উইকেট নিয়ে ইংলিশ বোলাররা শেষ করে দেয় বাংলাদেশের লিড নেয়ার স্বপ্ন। বেয়ারস্টো বলছেন দুদলের পার্থক্য গড়ে উঠেছে এখানেই। শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া ঢাকা টেস্ট কিংবা আসন্ন ভারত সফরে পাঁচ টেস্টের সিরিজ, সবখানে এই ম্যাচ থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস কাজে লাগাবে ইংলিশ বোলাররা বলে বিশ্বাস করেন এই উইকেটকিপার।

     



    চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম দিনের আগে ম্যাচের পাল্লাটা অনেকটা হেলে ছিল ইংল্যান্ডের দিকে। বেয়ারস্টোরা জানতেন জয়ের জন্য প্রয়োজন কেবল দুটি ভালো বলের। ম্যাচের আগের রাতে ভেবেছিলেন ঘুম আসবে না। কিন্তু চতুর্থ দিনের ক্লান্তি, গরম ও ম্যাচের উত্তেজনা মিলিয়ে চমৎকার একটা ঘুম দেন ইংলিশ উইকেটকিপার। তাঁর মতে, পঞ্চম দিন সকালে তাঁর মতোই ফুরফুরে মেজাজে ছিল পুরো দলটাই। এরপরেই এক বল বিরতি দিয়ে তাইজুল ও শফিউলকে ফিরিয়ে দেন স্টোকস। ইংল্যান্ডও মেতে ওঠে উদ্দাম উদযাপনে।