শেষমেশ একপেশেই
ফলাফলটা সম্ভবত বিস্ময় জাগায়নি আপনার মনে, উল্টোটা হলেই বরং অবাক হতেন অনেকে। সাম্প্রতিক সময়টা প্রবল পরাক্রমের সঙ্গে কাটানো অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১১১ রানের পরাজয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হয়েছে ইংলিশদের। জেমস টেলরের চোখ জুড়ানো ৯৮ রানের ইনিংসটা হালে পানি পায়নি যোগ্য সঙ্গীর অভাবে, ওদিকে এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান অ্যারন ফিঞ্চের কাছে গিয়েছে ম্যাচসেরার পুরষ্কার।
প্যাভিলিয়নের ম্যাচ প্রিভিউতে বলা হয়েছিল তিনটি সম্ভাবনার কথা- একপেশে ম্যাচ, অঘটন কিংবা পণ্ড। যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও মেলবোর্নের লাখখানেক দর্শককে হতাশায় আচ্ছন্ন না করতেই হয়তোবা, অশ্রু ঝরেনি মেলবোর্নের আকাশ থেকে। বিস্ময়কর হলেও সত্যি, ম্যাচটা ইংলিশরা জিতলে অঘটন হিসেবেই আখ্যায়িত হত অনেকের কাছে- সেটা করার মত ক্রিকেট অবশ্য খেলতে পারেনি তারা। অন্যভাবে বলা যায় অবিশ্বাস্য পারফরমেন্সের মাধ্যমে সেই সুযোগটা তাদের দেয়নি অসিরা। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় ম্যাচের ফলাফল।
জিততে হলে বিশ্বকাপে রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডতো করতে হতোই, নিজেদের রান তাড়ার রেকর্ডও নতুন করে লেখাতে হতো ইংল্যান্ডের। সে লক্ষ্যে পৌঁছতে বিস্ফোরক যে শুরুটা দরকার হতো, সেটাতো হয়ইনি, বরঞ্চ দ্রুত উইকেট হারিয়ে ওভার বিশেক যাওয়ার আগেই পুরোপুরি ব্যাকফুটে তারা। সপ্তম উইকেটে ক্রিস ওকস ও জেমস টেলরের ঝড়ো জুটিটা পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে শুধু। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত পাঁচ উইকেটের দেখা পেয়েছেন অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা হয়েছিল উড়ন্ত। অষ্টম ওভারে ৫৭ রানের মাথায় ওয়ার্নার ফিরে গেলে দ্রুত আরও দুটি উইকেট হারিয়ে সামান্য দুশ্চিন্তার উদ্রেক হলেও আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান অ্যারন ফিঞ্চ ছিলেন অটল। ফর্মের সাথে যুঝতে থাকা ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জর্জ বেইলিকে নিয়ে গড়েন ১৪৬ রানের জুটি। ২১৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৩৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ওভার দুয়েকের মধ্যে ৫৫ রান করে বেইলিও ফিরে গেলে শুরু হয় ম্যাক্সওয়েল ঝড়, যেটাকে সাঙ্গ করেই ৩৪২ রানের পাহাড় গড়ে অসিরা।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের একেবারে শেষ তিনটি বলে ঘটে এ ম্যাচের সবচেয়ে মজার ব্যাপার। হ্যাডিন, ম্যাক্সওয়েল ও জনসনকে আউট করে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পান ইংল্যান্ডের সবচেয়ে খরুচে বোলার স্টিভ ফিন। ছবি-সৌজন্যঃগেটিইমেজ