হঠাৎ বিপর্যয়ে নাস্তানাবুদ বাংলাদেশ
১১৮ রানে এক উইকেট। লাঞ্চ। যেখান থেকে শেষ করেছিলেন তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হক, লাঞ্চের পর শুরু করলেন সেখান থেকেই। মুমিনুল ফিফটি করলেন, তামিম ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি করলেন। প্রিয় প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের সংগে তৃতীয়, দেশের মাটিতে প্রথম। দিনটি হওয়ার কথা তো বাংলাদেশেরই!
সেঞ্চুরির পরপরই মঈন আলীর বলে এলবিডাব্লিউ। প্যাড-আপ করতে গেলেন, রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারলেন না। তামিমের আউটের পরই যেন শুরু হলো এক ‘কাল-সেশন’। চা-বিরতির আগ পর্যন্ত ৩৪ রান, নেই ৬ উইকেট! শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়ে গেল ২২০ রানে।
যে উইকেটে সহজেই ইংল্যান্ডকে খেললো বাংলাদেশ, লাঞ্চের পর সেই উইকেটেই যেন ব্যাটিং হয়ে গেল অনেক কঠিন!
মঈনকে বেশী পেছনে খেলতে গিয়ে বোল্ড মুমিনুল। পঞ্চম সেঞ্চুরিটা পাওয়া হলো না আর। লাঞ্চের আগে স্টোকস যে স্পেলটা করেছিলেন, তার পুরস্কার পেলেন লাঞ্চের পর, মাহমুদউল্লাহর উইকেট নিয়ে। বেরিয়ে যাওয়া বলটা শুধু কুকের হাতেই ক্যাচ দিতে পারলেন মাহমুদউল্লাহ।
স্টোকসের এক বাউন্সার ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল, মুশফিক মাথায় আঘাত পেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন ক্রিজে। বাংলাদেশ অধিনায়ক উঠে দাঁড়ালেন, কিন্তু উইকেটে টিকতে পারলেন না বেশীক্ষণ। তাঁর ইনসাইড-এজটা লেগ স্লিপে তৃতীয়বারের চেষ্টায় ধরলেন ইংলিশ অধিনায়ক।
সাব্বির এলেন, স্টোকসের বলেই ক্যাচ দিলেন। শুভাগতও করলেন ঠিকঠিক তাই। স্টোকসের বল, বেইরস্টোর হাতে ক্যাচ! মিরাজ অবশ্য একটু ব্যতিক্রম করলেন। তিনি হলেন এলবিডাব্লিউ। মঈনকে সুইপ করতে গেলেন, লেগস্ট্যাম্পের বাইরে পড়েছে মনে করে আবেদন নাকচ করলেন ধর্মসেনা। ইংল্যান্ড নিল রিভিউ। ধর্মসেনাকে আরেকবার বদলাতে হলো সিদ্ধান্ত, উইকেট গেল আরেকটি।
এতক্ষণ ভরসার ছায়া হয়ে ছিলেন সাকিব আল হাসান। ক্রিস ওকসের অনেক বাইরের বলে ব্যাট বাড়িয়ে দিলেন স্লিপে ক্যাচ! ১৭২ রানে ১ উইকেট থেকে ২২০ রান অল-আউট!
৪৯ রান, ৯ উইকেট। ইংল্যান্ডের উদযাপনে মিশে গেল তামিম-মুমিনুলের জুটির সুখস্মৃতি! যেন সেই কবে খেলেছিলেন তাঁরা!
অথচ দিনটি বাংলাদেশের হওয়ার কথা ছিল ব্যাটিংয়ে!