"আমি ব্যাখ্যা করতে পারব না"
৪৯ রানে ৯ উইকেট। ব্যাটিংয়ের পুরো নিয়ন্ত্রণটা হাতছাড়া হয়ে গেছে হঠাৎ আসা ওই বিপর্যয়েই। ১ উইকেট ১৭২ রান করা দলটাই কিনা অল-আউট ২২০ রানে! ইংলিশ বোলারদের হঠাৎ পাওয়া নিয়ন্ত্রণ, পেসারদের রিভার্স সুইং কিংবা স্পিনারদের টার্ন, বাংলাদেশের ব্যাটিং-বিপর্যয়ের পেছনে কী হতে পারে অজুহাত!
কিছুই না। যাঁর উইকেট দিয়ে বিপর্যয়ের শুরু, সেই তামিম ইকবালই বলছেন, ‘এটা কোনোভাবেই ব্যাখ্যা করতে পারবো না। হয়তো ভুল শট খেলেছি, হয়তো তারা ভাল বল করেছে। তবে এই ‘বিপর্যয়’কে সমর্থন করে এমন কিছুই আমি বলতে পারবো না।’
নিজের আউট হওয়ার ধরন নিয়েও যেমন কোনো ব্যাখ্যা নেই তামিমের, ‘চট্টগ্রামে এরকম জায়গায় বল পড়েই ঘুরছিল। আমি এর আগেও প্যাড-আপ করেছি, কেন করেছি ঠিক নিশ্চিত না। ওই বলটাতেও শট খেললে, ব্যাটে না লাগলেও তো আমি আউট হতাম না!’
তবে পুরো বিপর্যয়ে ঠিক নির্দিষ্ট কাউকে দোষ দিতে চান না তামিম, ‘আমি থেকে শুরু করে রাব্বি(কামরুল ইসলাম), পুরো ব্যাটিং ইউনিটেরই দোষ!’ লাগামটা যেন খেয়ালের বশেই হাতছাড়া হয়ে গেছে বাংলাদেশের, এখন পুড়তে হচ্ছে আফসোসে। ‘আর ১০০ রান বেশী হলে বলতে পারতাম, ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে শেষের দিকে তিনটা উইকেট পেয়েছি, কাল দ্রুত কয়েকটা উইকেট নিতে পারলে আমরা আবার ম্যাচে ফিরবো।’
দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে যেন আড়াল হয়ে যাচ্ছে তামিমের নিজের সাফল্য! তামিম নিজেও বলছেন, ‘আমাদের ব্যাটিংয়ের পর আমার ইনিংসই বিশেষ কিছু মনে হচ্ছে!’
তামিমের ইনিংস অবশ্য বিশেষ কিছুই ছিল। ‘আমার কাছে সবকয়টা সেঞ্চুরিই বিশেষ কিছু। আর আমি যেভাবে খেলতে চাই, আজ সেভাবেই খেলতে চেয়েছি। এই সেঞ্চুরিটাকেও তাই উপরের দিকেই রাখবো!’
কিন্তু কাল দিনশেষে কি উপরের দিকে থাকতে পারবে বাংলাদেশের ব্যাটিং?