অনেক কিছু শেখারও দেখছেন তামিম
১৩ উইকেট পতনের এক গোলমেলে দিন। হঠাৎ করে কী এমন ঘটলো যে ১৭১ রানে ১ উইকেট হারানো বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল ২২০ রানেই? তামিম ইকবাল বলছেন উইকেটের হঠাৎ বদলে যাওয়াটাই বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণ।
১০৪ রান করে মঈন আলীর বলে যখন এলবিডব্লিউ হলেন তামিম ইকবাল তখন মনে হচ্ছিল বাকিটা পথ আরামসে পাড়ি দিতে পারবে বাংলাদেশ। মনে হবে না কেন বলুন? স্ট্রোকের দৃষ্টিনন্দন দ্যুতি ছড়িয়ে দর্শকদের মোহাবিষ্ট করে রেখেছিলেন তামিম ও মুমিনুল। যে পিচটাকে মনে হচ্ছিল ব্যাটিং স্বর্গ, সেটাই বুনো গিরগিটির মতো রঙ বদলে হয়ে গেল ব্যাটসম্যানদের বধ্যভূমি। তামিম বলছেন বিপর্যয়ের পেছনে আছে পিচ, “আমাদের ব্যাটিংয়ের শেষের দিকে, অর্থাৎ ৪৫ ওভারের পর বল স্পিন করা শুরু করেছে।”
৪২তম ওভারে আউট হয়ে ফিরে যান তামিম। তার মানে তিনি ক্রিজে থাকা অবস্থায় ব্যাটিংয়ে সমস্যা হয়নি। কিন্তু ৪৬তম ওভারে ৬৬ রান করে মুমিনুল আউট হলে পিচ হাজির হয় তার কালান্তক রূপ নিয়ে। সে সুযোগে পটাপট উইকেট তুলে নিতে থাকেন মঈন আলী। ৩২ টেস্টের ক্যারিয়ারে এই নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন মঈন।
তবে শুধু মঈন নয়, বল পুরনো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভয়াল রূপে দেখা দেন বেন স্টোকস ও ক্রিস ওকস। দুজনই রিভার্স সুইংয়ে নাকাল করেন বাংলাদেশের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের। রিভার্স সুইংয়ের সামনে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা গোপন করেননি তামিম, “এ রকম রিভার্স সুইং আমরা কোনো জায়গায় খেলি না। এখান থেকে দেখার আছে, কিছু শেখার আছে।”
শুধু বাংলাদেশ নয়, পিচের হঠাৎ রূপ বদলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইংলিশরাও। স্পিন সহায়ক পিচে তাঁদের ভালোই ভোগাচ্ছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। কাল সকালে হয়তো তাঁদের টেকনিকের অনেক পরীক্ষাও দিতে হবে সাকিব-মিরাজ-তাইজুলদের সামনে। সেটা ভেবেই তামিমের কণ্ঠে ঝরলো আফসোস, “যদি আর ১০০টা রান বেশি করতে পারতাম তাহলে ম্যাচটা আমাদেরই নিয়ন্ত্রণে থাকতো।”