স্পিন-সাফল্যে বাংলাদেশের স্বপ্নের সকাল
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ১ম ইনিংসে ২২০ অলআউট
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ৫২ ওভারে ১৬৩/ ৮ (ওকস ১২* , রশিদ ৭*)
সকালটা বাংলাদেশের জন্য এমন রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষা করবে কে জানত? নির্ধারিত সময়ের চেয়ে একটু আগেই খেলা শুরু হয়ে যাওয়ায় সেই রোমাঞ্চের আঁচ অনেকেই হয়তো পুরোপুরি পাননি। তবে এর পর যা হয়েছে, সেটা সেই আক্ষেপ অনেকটাই হয়তো ভুলিয়ে দিয়েছে। এক সেশনেই ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যে আবার টেস্টের লাগাম নিজেদের হাতে নিয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের রান ৮ উইকেটে ১৬৩। প্রথম ইনিংসের বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আরও ৫৭ রানে। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসের মতো আরও একবার উজ্জ্বল মেহেদী হাসান মিরাজ, আজ নিয়েছেন ৫ উইকেট।
অথচ সেশনটা হতে পারত আক্ষেপেরও। সকালে জো রুটের কঠিন একটা ক্যাচ ছেড়েছিলেন মুশফিক। তখন মনে হচ্ছিল, রুট সেই সুযোগের পুরো ফায়দাটাই ওঠাবেন। তবে বাংলাদেশও দ্রুত সাফল্য পেয়ে যায়। দিনের তৃতীয় ওভারেই মঈন আলীকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে প্রথম উদযাপনের সুযোগ এনে দেন মিরাজ।
এরপর এই সিরিজে ব্যাটে-বলে সবচেয়ে উজ্জ্বল বেন স্টোকসও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শূন্য রানেই ইংলিশ অলরাউন্ডারকে ফিরিয়ে দিনে নিজের প্রথম উইকেটটা নিয়েছেন তাইজুল।
তবে এই বছর ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করা বেয়ারস্টো ও রুট মিলে ইংল্যান্ডকে টেনে তুলেছিলেন। এই সিরিজে ষষ্ঠ উইকেটেই ইংল্যান্ড বেশি সাফল্য পেয়েছে, এই দুজন ৪৫ রানের জুটিও গড়ে ফেলেছিলেন। এরপরেই আবার আঘাত হানেন মিরাজ, এবার বেয়ারস্টো ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লু হয়ে যান।
তবে রুট যতক্ষণ ছিলেন, ইংল্যান্ডের বাংলাদেশের কাছাকাছি যাওয়ার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হচ্ছিল। ফিফটিও পেয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু ৫৬ রানের তাইজুলের একটা বল ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লু হয়ে যান। বাতাসে ব্যাট ছুঁড়ে মাঠ ছাড়তে ছাড়তে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন, কতটা হতাশ। তার আগেই অবশ্য মিরাজের বলে অভিষিক্ত জাফর আনসারির দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়েছেন শুভাগত হোম। টেস্ট ইতিহাসের মাত্র তৃতীয় স্পিনার হিসেবে প্রথম দুই টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ। এর আগে এই কীর্তি ছিল ক্ল্যারি গ্রিমেট ও নিক কুকের।