লেজের কাঁটায় জর্জর বাংলাদেশ
সকালের শুরুটা স্বপ্নের মতোই হয়েছিল বাংলাদেশের। আগের দিনের ইংল্যান্ডের ৩ উইকেটের সকালে তুলে নিয়েছিল আরও ৫ উইকেট। ১৪৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে কাঁপছিল ইংল্যান্ড। তখন মনে হয়েছিল, বাংলাদেশের জন্য লিড নেওয়াটা সময়ের ব্যাপার। কিন্তু ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ অন্য কিছু ভেবেছিলেন। দুজন নবম উইকেটে ৯৯ রানের জুটি গড়ে ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন মহামূল্যবান ২৪ রানের লিড। কে জানে, সেটাই হয়তো ম্যাচের ব্যবধান হয়ে দাঁড়াবে।
সেজন্য কিছুটা দায় মুশফিকুর রহিম নিজের কাঁধে নিতে পারেন। মেহেদী হাসান মিরাজের রান বলে আদিল রশিদের স্টাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ওই সময় রশিদের রান ছিল ৫, ইংল্যান্ড তখনো বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে ছিল ৬৮ রানে। তখন আউট হলে ওকসের সঙ্গে জুটিটাও হয় না, এশিয়াতে নবম উইকেট জুটিতে ইংল্যান্ডের রেকর্ড রানও করা হয় না।
অধিনায়কত্ব নিয়েও কিছুটা খচখচানি থাকতে পারে মুশফিকের। রশিদ-ওকসকে শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়ে সেট হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। দুই ডানহাতির বিপক্ষে বাঁহাতি স্পিন যখন মোক্ষম অস্ত্র হওয়ার কথা, তখন সরিয়ে নিয়েছেন সাকিব-তাইজুলকে। শুভাগত-কামরুল-সাব্বিররা এসে কিছুই করতে পারেননি। সাব্বির অবশ্য নিজেকে খানিকটা দুর্ভাগা ভাবতে পারেন। তাঁর ফুলটস বলটা মারতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন ওকস। কিন্তু পরে রিপ্লে দেখে আম্পায়ার সেটিকে নো বলে আউট দেন। যদিও পরে দেখা গেছে স্টোকস এগিয়ে না এলে বলটা হয়তো তাঁর কোমরের নিচেই থাকত।
শেষ পর্যন্ত নতুন বলেই বাজিমাত করেছে বাংলাদেশ। প্রথমে ওকসকে ৪৬ রানে ফিরিয়ে দিয়েছেন মিরাজ, পরের ওভারেই তাইজুল ফিরিয়ে দিয়েছেন ফিনকে। ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৪ রানে।