মাহমুদউল্লাহর আউট এবং কিছু আফসোস
দিনের শেষ বল।
জাফর আনসারিকে সুইপ করতে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। হলেন বোল্ড! টেস্টের দুইদিন জুড়েই ইংল্যান্ডকে যেন এভাবেই এগিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ, অথবা ঘুরিয়ে বললে, মোক্ষম সময়গুলোতে এগিয়ে গিয়েছে ইংল্যান্ড! সাত উইকেট হাতে নিয়ে ১২৮ রানের লিড, অথচ দিনটা হতে পারতো আরও ভাল, বাংলাদেশের জন্য।
চাপে ফেলে তা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড ১৪৪ রানে ৮ উইকেট, স্কোর যখন এমন, উঁকি দিচ্ছিল বড় লিড। তখনই দাঁড়িয়ে গেলেন ওকস ও রশিদ, নবম উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ জুটিটা গড়লেন ৯৯ রান করে।
স্টোকস ফিরে যাওয়ার পর অবশ্য দ্রুতই ফিরে গেছেন শেষ ব্যাটসম্যান ফিনও, তবে যে ইনিংসে লিড পাওয়ার ‘কথা’ বাংলাদেশের, সেই ইনিংসেই ইংল্যান্ড এগিয়ে গেল ২৪ রানে। মেহেদী টানা দ্বিতীয় টেস্টে নিলেন পাঁঁচ উইকেট, এবার ৬টা।
শুরুটা অবশ্য দারুণ করেছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। ৬৫ রানে প্রথমে তামিম ফিরলেন, খানিক বাদে ফিরে গেলেন মুমিনুলও। আনসারিকে লেগ স্লিপে ক্যাচ দিলেন তামিম। স্টোকসের লাফিয়ে ওঠা বলে কুককে মুমিনুল করালেন ক্যাচ প্র্যাকটিস তবে এরপর ছিলেন ইমরুল ও মাহমুদউল্লাহ। ইমরুল ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি করলেন। বোলিংয়ের সেই দুঃখ ভুলে ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যাওয়ার আশা তখন।
কিন্তু নিজের ৪৭ রানে দাঁড়িয়ে মাহমুদউল্লাহ খেললেন সেই শটটা। দিনের শেষ বলে।
শেষটা ভাল হলো না। শেষটা ভাল হতে পারতো।
দিনটাও তো ভাল হতে পারতো আরও!