গোলটাই পেল না ইউনাইটেড
একটা ম্যাচে গোল করার জন্য এর চেয়ে বেশি কিছু আর বোধ হয় করা সম্ভব ছিল না। একের পর এক গোলে শট, পোস্টে-বারে লাগা, পেনাল্টির আবেদন , গোলরক্ষক অতিমানব হয়ে কিছু নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেওয়া, কিছু দৃষ্টিকটু মিস- সবকিছুই হয়েছে। শেষ পর্যন্ত যে বার্নলির জালে কোনো বল ঢোকাতে পারেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, সেটিকে ভুতুড়ে ব্যাপার বলেই মনে হবে। গোলশূন্য ড্র করে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা লড়াই থেকে আরও পিছিয়ে পড়ল ইউনাইটেড। এ নিয়ে লিগে সর্বশেষ সাত ম্যাচের মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে ইউনাইটেড।
হোসে মরিনহো অবশ্য নিজের ওপর মেজাজ হারাতেই পারেন। রেফারির সঙ্গে তর্ক করে ডাগআউটের বাইরে চলে যেতে হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। সেখান থেকে অসহায় দেখেছেন কীভাবে একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। সবশুদ্ধ ম্যাচে ৩৪টি শট নিয়েছে ইউনাইটেড, সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগের কোনো ম্যাচে এত বেশি শট হয়েছিল সেই দুই বছর আগে। ওয়েস্ট হামের সঙ্গে ওই ম্যাচে ৩৭টি শট নিয়েছিল ইউনাইটেড।
তবে মরিনহোর তার চেয়েও বড় দুশ্চিন্তা আক্রমণ নিয়ে। গত তিন ম্যাচে ইউনাইটেড কোনো গোল পায়নি, ইব্রাহমোভিচ যেন হঠাৎ করে গোল করা ভুলে গেছেন। গত ছয় ম্যাচে কোনো গোল পাননি ইব্রা। ক্যারিয়ারে সর্বশেষ এমন খরার মধ্য দিতে যেতে হয়েছিল ২০০৭ সালে, ইন্টারের সঙ্গে।
আজ অবশ্য গোল করা ছাড়া বাকি সবকিছুই ঠিকমতো করেছেন।এমনকি হিল্টন অবিশ্বাস্য একটা সেভ না করলে ট্রেডমার্ক সিজর কিক থেকে গোলও পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু যে গোল মিস করেছেন, তার জন্য নিজেকে বোধ হয় ক্ষমা করতে পারবেন না। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে পগবার ক্রসে পোস্ট থেকে নিঃশ্বাস দূরত্বে দাঁড়িয়েও বাইরে মেরেছেন। ফার্গি টাইমে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন রুনি। অথচ ইউনাইটেড তার আগেই দশজনের দল হয়ে গিয়েছিল। শেষ ২২ মিনিট অ্যান্ডার হেরেরাকে ছাড়াই খেলতে হয়েছে তাদের। কিন্তু দশজন নিয়েও বার্নলিকে কোনো সুযোগ দেয়নি। সবকিছুই ঠিক ছিল, কিন্তু ফলটাই শেষ পর্যন্ত হলো না।