• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    'একপেশে' মহারণে জয় ভারতের

    'একপেশে' মহারণে জয় ভারতের    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

     

     

    ভারত ৩০০/৭, ৫০ ওভার (কোহলি ১০৭, ধাওয়ান ৭৩, রায়না ৭৪; সোহেল খান ৫/৫৫); পাকিস্তান ২২৪/১০, ৪৭ ওভার (মিসবাহ ৭৬, শেহজাদ ৪৭; শামি ৪/৩৫)

     

    ফলঃ ভারত ৭৬ রানে জয়ী।

     

    প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচঃ বিরাট কোহলি (ভারত)

     

     

    হল না ৫-১। বিশ্বকাপের মাঠে ভারত জুজু কাটাতে পারলো না পাকিস্তান। ১৯৯২ সাল থেকে শুরু হওয়া আক্ষেপ দীর্ঘতর হল আরও অন্তত চার বছরের জন্য। অ্যাডিলেড ওভালে পুল বি’র দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭৬ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিলো ভারত।

     

     

    টস জিতে প্রথমের ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে এতোটুকু ভাবেন নি ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। বড় ম্যাচের চাপেই কিনা, বাজে শট খেলতে গিয়ে রোহিত শর্মা আউট হন ব্যক্তিগত মাত্র ১৫ রানে। হারিস সোহেলের বল মিড অফ থেকে তালুবন্দী করেন মিসবাহ। তবে তাতে ভড়কে না গিয়ে সাবলীল ব্যাটিংয়ে রানের চাকা টেনে নেন শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলি। সর্বশেষ বেশ ক’টি একদিনের আন্তর্জাতিকে রান না পাওয়া কোহলি সোহেল খানের বলে উইকেটের পিছনে ‘কট’ হবার আগে খেলেন ১০৭ রানের চোখজুড়ানো একটি ইনিংস। ১২৬ বলের ৮টিকে পরিণত করেন চারের মারে। ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার শিখর ধাওয়ান ৭৬ বল থেকে করেন ৭৩ রান। ধাওয়ানের পর কোহলির সঙ্গী হওয়া সুরেশ রায়না খেলেন আরও আক্রমণাত্মক হয়ে...৫৬ বল মোকাবেলায় ৫ চার, ৩ ছয়ে করেন ৭৪ রান।

     

     

     

    শেষদিকে শ্লথ হয়ে যাওয়া ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপকে খানিকটা চাপে ফেলে হ্যাট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সোহেল খান। শেষ পাঁচ ওভারে মাত্র ২৭ রান তোলা ভারতের সংগ্রহ নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে দাঁড়ায় ৩০০ রানে, ৭ উইকেটের বিনিময়ে। পাকিস্তানের পক্ষে ৫৫ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নেন সোহেল খান।

     

     

    জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ইউনুস খানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে পাকিস্তান। হারিস সোহেল-আহমেদ শেহজাদ জুটি দ্বিতীয় উইকেটে সে বিপর্যয় অনেকটা কাটিয়ে নিলেও পুরোপুরি তাড়াতে কার্যত ব্যর্থই হন। দলীয় ৭৯ রানের মাথায় হারিস (৩৬) ফিরে যাওয়ার পর শেহযাদের সঙ্গী হন অধিনায়ক মিসবাহ। অল্প বাদেই ছোটখাটো একটা ঝড় পাকিস্তান ইনিংসের ভিতটা একেবারেই নড়বড়ে করে দেয়। ২৪তম ওভারে উমেশ জাদবের তিন বলের মধ্যে দারুণ দুটো ক্যাচ নিয়ে শেহজাদ ও শোয়েব মাকসুদকে ফেরান যথাক্রমে রবীন্দ্র জাদেজা ও সুরেশ রায়না। পরের ওভারেই জাদেজার বলে কট বিহাইন্ড উমর আকমল (০)!

     

     

    এরপর মিসবাহর সাথে শহীদ আফ্রিদি পুনরায় প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ক্রমাগত ভুল শট খেলার মাশুলটা দ্রুতই দিতে হয় আফ্রিদিকে। দলীয় ১৪৯ রানের মাথায় শামির বলে কোহলির তালুবন্দী হন, ২২ বলে ২২ রান করে। মূলত একাই ইনিংস টেনে নেয়া অধিনায়ক মিসবাহ সেই শামির বলেই রাহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ৭৬ আর দলীয় ২২০ রানে।

     

     

    ৩ ওভার বাকি থাকতেই পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২২৪ রানে। ভারতের পক্ষে মোহাম্মদ শামি ৩৫ রানে ৪টি এবং উমেশ যাদব ও মোহিত শর্মা ২টি করে উইকেট লাভ করেন।