গোল করে উদযাপন করলেন না হিগুয়েইন !
ম্যাচের তখন ২০ মিনিট বাকি। দারুণ এক গোলে নাপোলির বিপক্ষে দলকে এগিয়ে দেন গঞ্জালো হিগুয়েইন। কিন্তু গোলের পরেও কোনো উদযাপন করেন নি! উল্টো হাত জোর করে ক্ষমার ভঙ্গি করেছেন। কিন্তু কেন এই কাজটা করলেন তিনি?
আগের মৌসুমে ৩৬ গোল করেছিলেন এই নাপোলির হয়েই। এই মৌসুমেই সেখান থেকে ৯০ মিলিয়ন ইউরোতে জুভেন্টাসে পাড়ি জমিয়েছিলেন হিগুয়েইন। ব্যাপারটা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি নাপোলি ভক্তরা। প্রকাশ্যেই তাঁর জার্সি, পোস্টার ডাস্টবিনে ফেলেছিলেন তাঁরা। ম্যাচের আগে নাপোলি কোচ মাউরিজিও সারিও বলেছিলেন, “আমি তাঁকে ওরকম সন্তানের মতোই গ্রহণ করব যে তাঁর বাবাকে রাগিয়ে দিয়েছে।”
ম্যাচের কয়েকদিন আগেই তাই এসব ব্যাপারকে মাথায় রেখে সফরকারি নাপোলি দলের সমর্থকদের আগমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। তাই প্রতিপক্ষের মাঠে কোনো সমর্থক ছাড়াই খেলেছে নাপোলি। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ এই ম্যাচে গতরাতে তাঁদেরকে ২-১ গোলে হারিয়েছে জুভেন্টাস।
প্রথমার্ধে কোনো গোল হয়নি।দ্বিতীয়ার্ধের ৫০ মিনিটের মাথায় জুভদের এগিয়ে দেন লিওনার্দো বোনুচ্চি। তবে বেশিক্ষণ এটা ধরে রাখতে পারেনি, মাত্র ৪ মিনিট পরেই সমতা ফেরান হোসে ক্যালেজন। এরপর ৭০ মিনিটে জয়সূচক গোল করেন হিগুয়েইন।নিজের দ্বিতীয় গোলও পেতেন, যদি না তাঁর হেড অল্পের জন্য মিস না করত। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে মেরটেনস সমতা ফেরানোর সুযোগ হারালে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে জুভেন্টাস।
নাপোলির সমর্থকেরা হিগুয়েনকে 'বিশ্বাসঘাতক' বলেছে। তবে এটা মানতে একেবারেই নারাজ জুভদের কোচ মাসসিমিলানো আল্লেগ্রি, "গঞ্জালোর দারুণ প্রতিভা আছে, সে খুবই পরিশ্রমী ফুটবলার। এই ম্যাচটা তাঁর জন্য অন্যরকম ছিল। সে এই ক্লাবে আসার সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়েছে, কোনোভাবেই সে বিশ্বাসঘাতক নয়। তাঁর সিদ্ধান্ত সাহসী। সে আর মারিও মান্ডজুকিচ একসাথে দারুণ খেলেছে। আমি তাঁদের ওপর সন্তুষ্ট।"