''সুযোগ" কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ
সকালটা বাংলাদেশের কোনোভাবেই বলা যাবে না। আগের দিনের সঙ্গে আরও ৪ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ, লিড নিয়েছে ২৪৪ রানের। ৭ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে লাঞ্চে গেছেন শুভাগতরা। তবে স্কোরকার্ড যা দেখছে, বাংলাদেশের অবস্থা তার চেয়েও অনেক বেশি খারাপ হতে পারত। সেটা যে হয়নি, তার জন্য ধন্যবাদটা ইংল্যান্ড ফিল্ডারদেরই প্রাপ্য। চারটি ক্যাচ মিস করে যে ইংল্যান্ড সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। তবে ইতিহাস আশা দেখাচ্ছে বাংলাদেশকে, মিরপুরে চতুর্থ ইনিংসে ২০৯ রানের বেশি তাড়া করে কেউ জেতেনি।
সকালে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান। ৬৭ রানেই আউট হয়ে যেতে পারতেন ইমরুল, কিন্তু আনসারির বলে কঠিন একটা ক্যাচ হাতে রাখতে পারেননি কুক। সাত রান পর আবার আউট হয়ে যেতে পারতেন ইমরুল, এবার মঈন আলীর বলে স্লিপে আরেকটি কঠিন ক্যাচ ছেড়েছেন রুট।
রুট-কুক সান্ত্বনা খুঁজতে পারেন, কিন্তু বেন ডাকেট সেটিও পাবেন না। ডাউন দ্য উইকেট মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন সাকিব। অবিশ্বাস্যভাবে ডাকেট সেটি ফেলে দিয়েছেন হাত থেকে।
ইমরুল অবশ্য তার আগেই আউট হয়ে গেছেন। ৭৭ রান করে মঈন আলীর বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরে গেছেন প্যাভিলিয়নে। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা জীবন পেয়েছেন আরও, এবার সৌভাগ্যবান ব্যাটসম্যানের নাম মুশফিক। আরও একবার দুর্ভাগা বোলারের নাম আনসারি, এবার মিড উইকেটে ফিনের ক্যাচটা অবশ্য কঠিনই ছিল। তার আগে মুশফিকের একটা এলবিডব্লুর সিদ্ধান্তও রিভিউ করেনি ইংল্যান্ড। রিপ্লেতে দেখা গেছে, মুশফিক আউট ছিলেন। কিন্তু যে দুইটি রিভিউ নিয়েছে ইংল্যান্ড, একটি সিদ্ধান্তও তাদের পক্ষে যায়নি।
শেষ পর্যন্ত সাকিব-মুশফিক কেউই জীবন পেয়ে ইনিংসটা খুব বড় করতে পারেননি। ৪১ রান করে সাকিব হয়ে গেছেন এলবিডব্লু, মুশফিক ৯ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন স্টোকসের বলে। সাব্বির ও শুভাগত শুরু থেকেই নেমে আগ্রাসী খেলার চেষ্টা করেছেন। তবে ভাগ্য পক্ষে ছিল সাব্বিবেরও। স্টোকসের বলে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গিয়েছেন, কিন্তু একটু পরেই ১৫ রানে আউট হয়ে গেছেন আদিল রশিদের বলে।