সাকিবের কাছে স্টোকসের "অনুরোধ"
গতকাল থেকেই সবার মুখে মুখে একটাই কথা, সামাজিক মাধ্যমগুলোতে একটাই ছবি। বেন স্টোকসকে দেয়া সাকিবের সেই ‘স্যালুট’ যেন পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের জয়ের ‘ট্রেডমার্ক’। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মারলন স্যামুয়েলসও স্টোকসকে দেখিয়েছিলেন ‘স্যালুট’। তাঁদের মাঝে তিক্ততার গল্পটা সবারই জানা। মাঠে এবং মাঠের বাইরে স্টোকস-স্যামুয়েলস লড়াইটা অনেকদূরই গড়িয়েছিল। তবে সাকিবের এই কাণ্ডের পর স্টোকস একেবারেই ‘ক্ষেপে’ যাননি। উল্টো ম্যাচ শেষে টুইট করে সাকিবকেও ‘স্যালুট’ জানিয়েছেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। সাকিবও স্টোকসকে ‘ভালো বন্ধু’ বলেছেন টুইটের জবাবে।
ওয়ানডে সিরিজে তামিমের সাথে সেই ঘটনার পর থেকেই স্টোকসকে নিয়ে অভিযোগের শেষ ছিল না দেশের ক্রিকেট ভক্তদের। চট্টগ্রামে শেষ ওয়ানডেতে তো বাটলারের আউট হওয়ার পর দর্শক সারিতে থাকা সবাইকে ‘নিরবতা’ পালনের আহবানও করা হচ্ছিল! শেষ পর্যন্ত এরকম কিছু হয়নি। টেস্ট সিরিজেও একটু আধটু বাকবিতণ্ডা হয়েছে। তবে তা সীমা ছাড়ায়নি।
কাল বিকালে স্টোকসকে আউটের পর দাঁড়িয়ে ‘স্যালুট’ জানিয়েছিলেন সাকিব। ওয়ানডে সিরিজের সেই ঘটনার জন্যই কী এরকমটা করলেন সাকিব? কোনো ‘প্রতিশোধের’ ব্যাপার কি ছিল এই উদযাপনে? প্রশ্নটা স্বভাবতই উঠছিল কাল। তবে দুজনের টুইট থেকে এটা পরিষ্কার, পুরো ব্যাপারটাকে তাঁরা মজা হিসাবেই নিয়েছেন।
স্টোকস নিজের টুইটে বাংলাদেশের সবাইকে ধন্যবাদ জানান, “আমাদের এখানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ। দারুণ একটা টেস্ট,ওয়ানডে সিরিজ ছিল! এখানকার নিরাপত্তাকর্মী, জনগণকে স্যালুট, এবং সাকিবকেও!” সাকিবও পাল্টা টুইটে ইংল্যান্ড এবং স্টোকসকে ধন্যবাদ দিয়েছেন, “ইসিবি এবং ইংল্যান্ড দলকে বিশেষ ধন্যবাদ সফরে আসার জন্য এবং আমাদের ওপর ভরসা করার জন্য স্যালুট!”
তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপারটি হয়েছে সাকিবের আরেকটি টুইটে। সেখানে তিনি স্টোকসকে বন্ধু বলেছেন, “স্টোকস, তুমি বরাবরই দারুণ একজন বন্ধু!” স্টোকসও কম যান না, টুইটের জবাবে বলেছেন, “তুমি আমাকে আউট করা বন্ধ করলে বন্ধুতাটা আরেকটু জমবে!