• " />

     

    নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের "মধুর সমস্যা" ?

    নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের "মধুর সমস্যা" ?    

    দেশের মাটিতে যে বাংলাদেশ অসাধারণ সেটা জানা ছিল আগেই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পর তা আরো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট বোদ্ধা ও সমালোচকরা এক রা ধরেছেন। বলছেন, ‘দেশের মাটিতে তো অনেক হল, এবার বিদেশে কিছু করে দেখাক বাংলাদেশ!’ বিদেশের মাটিতে কিছু করে দেখানোর সুযোগ আগামী মাসেই আসছে বাংলাদেশের সামনে। তিন ওয়ানডে, তিন টি-টোয়েন্টি ও দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ। সাদা ও লাল বলের খেলায় দারুণ একটা পরীক্ষা অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সামনে।

    ক্রাইস্টচার্চে ‘বক্সিং ডে ওয়ানডে’ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে দারুণ করেছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলাম তো আগে থেকেই ছিলেন, বাংলাদেশের তূণে যোগ হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত অফ স্পিন। আশা করা যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন মুস্তাফিজুর রহমানও। চোট কাটিয়ে মোহাম্মদ শহীদকেও পাওয়ার কথা। আর শফিউল ইসলাম, কামরুল ইসলাম রাব্বি, আল আমিনরা তো আছেনই। তবে নির্বাচকদের "সংকট" হবে ওয়ানডেতে। ইংল্যান্ডের সঙ্গে তরুণ মোসাদ্দেক আলো ছড়িয়েছেন। এবারও তো মেহেদীও আছেন। মুস্তাফিজ ফিরলে সঙ্গে  যোগ করুন রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদকে। মাশরাফি বিন মুর্তজা তো থাকবেনই। বাংলাদেশের নির্বাচকদের জন্য মধুর একটা সমস্যাই অপেক্ষা করছে।

     

    নিউজিল্যান্ড বলতেই বাংলাদেশ সমর্থকদের মনে ভেসে ওঠে ২০১০ ও ২০১৩ সালের দুটি সিরিজের কথা। যেখানে যথাক্রমে ৪-০ ও ৩-০ ব্যবধানে ‘বাংলাওয়াশ’ হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু দেশের মাটিতে কিউইরা ভিন্ন দল। এ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে ৭ টি ওয়ানডে, ৫টি টেস্ট ও ১টি টি-টোয়েন্টি খেলে কোনো ম্যাচেই জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের পেস বোলিং সহায়ক কন্ডিশনে ম্যাট হেনরি, টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্টদের সামলানোর ঝক্কি পোহাতে হবে তামিম-মুশফিকদের। তবে গত অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে এক্ষেত্রে আশা দেখাতে পারে বাংলাদেশকে। নিউজিল্যান্ডের কাছাকাছি কন্ডিশনে সেবার দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন তাসকিন-রুবেল-মাশরাফিরা। পেস সহায়ক উইকেট পেলে বাংলাদেশের পেসাররা কী করতে পারে, সেটা দেখা গেছে এ বছরের এশিয়া কাপেও। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বোলিং যে উইলিয়ামসন-গাপটিলদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ পরীক্ষা নেবে সে কথা বলে দেয়াই যায়।

    ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে জয়ের পর বিদেশের মাটিতে নিজেদের প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। এমনিতে টেস্ট খেলার সুযোগ বাংলাদেশ পায় কালেভদ্রে। বিদেশের মাটিতে সেটা আরও কম। সর্বশেষ ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়ায় টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। ওয়েলিংটন ও ক্রাইস্টচার্চে টেস্ট দুটি খেলতে খেলতে এসে যাবে নতুন বছর। তার আলোতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বিদেশের মাটিতেও এগিয়ে গেলে যেমন এগোবে বাংলাদেশের ক্রিকেট, তেমনি বন্ধ হবে সমালোচকদের মুখ।

    মাশরাফি-মুশফিকদের কাছে এটাই বাংলাদেশের প্রার্থনা।