নতুন রাজশাহীর নতুন চ্যালেঞ্জ
ছিল দুরন্ত, ফিরলো রাজার বেশে। গত মৌসুমে বিপিএলে না থাকা রাজশাহী এবার ফিরেছে ‘রাজশাহী কিংস’ নামে। নতুন নামের মতোই বর্ণিল রাজশাহী দল। দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের অনবদ্য মিশেলে শক্তিশালী হয়েই মাঠে নামবে পদ্মাপাড়ের দলটি। দলের অধিনায়ক হিসেবে দেখা যাবে দুবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামিকে।
স্পটলাইট
দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে অবশ্যই বিশেষ নজর থাকবে ঘরের ছেলে সাব্বির রহমানের ওপর। জাতীয় দলের এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান স্ট্রোকের দ্যুতি ছড়িয়ে প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণ তছনছ করে ফেলার সামর্থ্য রাখেন। গত মৌসুমে বরিশালের হয়ে দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন ২৪ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। ১৩ ম্যাচে মোট রান করেছিলেন ১৮৯। স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৩.৮৪। সর্বোচ্চ করেছিলেন ৭৯ রান। রাজশাহীর ব্যাটিংয়ে তাঁর ভুমিকা হবে প্রধান।
নতুনের কেতন
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ১৯ উইকেট নিয়ে ধুমকেতুর মতো নিজের আগমনী বার্তা দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনিও খেলবেন রাজশাহীর হয়ে। তবে শুধু বল নয়, ব্যাট হাতেও রাজশাহীকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে এই অলরাউন্ডারের। ইতিমধ্যে অধিনায়ক ড্যারেন স্যামির নজর কেড়েছেন ১৯ বছরের এই তরুণ। টুইটারে স্যামি লিখেছেন, “এই দুর্দান্ত প্রতিভার সঙ্গে মাঠে নামতে আমার তর সইছে না।”
ঘরের ছেলেরা
দেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রাজশাহীর হয়ে গ্যালারিতে ঢেউ তুলতে পারেন মুমিনুল হক, নুরুল হাসান সোহান, ফরহাদ রেজা, রকিবুল হাসান ও রনি তালুকদার। ঘরোয়া ক্রিকেটের এই নিয়মিত পারফরমারদের মধ্যে রকিবুল ছিলেন এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। গতবারের বিপিএলে রনি তালুকদার বরিশালের হয়ে ১৩ ম্যাচে করেছিলেন ১৩২ রান।
তুরুপের তাস
বোলিংয়ে রাজশাহীর তুরুপের তাস হতে পারেন এবাদত হোসেন। পেসার হান্ট থেকে উঠে আসা এই ফাস্ট বোলার নজর কেড়েছেন সাবেক পাকিস্তানি পেসার আকিব জাভেদের। ইংল্যান্ডের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচেও নিজের প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন বিমান বাহিনীর এই সদস্য। যদিও চোটের জন্য তাঁর বিপিএলে খেলা অনিশ্চিত। পাকিস্তানি গতি তারকা মোহাম্মদ সামির সঙ্গে দারুণ একটা ফাস্ট বোলিং জুটি গড়ে উঠতে পারে এবাদতের।
ভিনদেশি তারা
বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে স্যামি ও সামি ছাড়াও রাজশাহী দলে আছেন শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার মিলিন্দা সিরিবর্ধনা, ওপেনার উপুল থারাঙ্গা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার কেসরিক উইলিয়ামস ও ইংলিশ স্পিনার সামিত প্যাটেল। তবে জিম্বাবুয়ে সফরে ব্যস্ত থাকায় বিপিএলে নাও খেলতে পারেন থারাঙ্গা ও সিরিবর্ধনা। তাঁদের পরিবর্তে রাজশাহীর জার্সি গায়ে দেখা যেতে পারে অন্য কাউকে।
কোচ
রাজশাহী কিংসের কোচ হিসেবে থাকছেন জাতীয় দলের সাবেক কোচ সারওয়ার ইমরান। এর আগের বিপিএলে তিনি ছিলেন বরিশাল ও সিলেটের কোচ। তবে কোনোবারেই তাঁর দল চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর অভিজ্ঞতাই সাহায্য করবে রাজশাহী কিংসের খেলার ছক সুচারুভাবে সাজাতে।