'টাইটানস' হয়ে ওঠার লড়াই খুলনার
রাজশাহীর মতোই বিপিএলের গত আসরে ছিল না খুলনা। ‘রয়েল বেঙ্গলস’রা এবার এসেছে গ্রীক পুরাণের ‘টাইটানস’ নাম ধারণ করে। বরিশাল বুলসের হয়ে গতবার দুর্দান্ত অধিনায়কত্ব করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবার খুলনার কাণ্ডারী। শুধু মাহমুদউল্লাহই খুলনায় আসেননি, গতবার বরিশালের হয়ে মাঠ কাঁপানো কেভন কুপারও রয়েছেন সুন্দরবন কোলের এই দলটিতে। দেশি-বিদেশি তারকা মিলিয়ে বিপিএলের অন্যতম ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়েছে খুলনা।
স্পটলাইট
প্রচারের আলোর বাইরে থেকে নিজের কাজটা ঠিকঠাক করে যাওয়াতেই আনন্দ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি এই অলরাউন্ডার যে অধিনায়কত্বটাও উপভোগ করেন তার প্রমাণ বিপিএলের সর্বশেষ আসর। ব্যাটে-বলে সামনে থেকেই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ১৩ ম্যাচে ২৭৯ রান করে হয়েছিলেন বিপিএলের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। পাশাপাশি নিয়েছিলেন পাঁচটি উইকেটও। জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহর ভূমিকা ফিনিশারের। শেষের দিকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়েও আছে তাঁর সুখ্যাতি। এবার খুলনা মাহমুদউল্লাহকে সেই ভূমিকাতেই চাইবে।
তুরুপের তাস
৯ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে গতবার বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার কেভন কুপার। বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর পরিচিত এই মুখ এবার বড় ভরসা হবেন খুলনার জন্য। এ পর্যন্ত ১৪১টি টি-টোয়েন্টি খেলা কুপারের অভিজ্ঞতাও অনেক সাহায্য করবে মাহমুদউল্লাহদের।
ঘরের ছেলেরা
অলক কাপালি-শুভাগত হোমদের মতো অলরাউন্ডার ভারসাম্যপূর্ণ করেছে খুলনা দলকে। এছাড়াও শফিউল ইসলাম ও মোশাররফ হোসেন রুবেলের মতো জাতীয় দলের খেলোয়াড়রাও সমৃদ্ধ করবে দলটির বোলিং লাইন আপকে। গত বিপিএলে ১০ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি স্পিনার রুবেল। সমান ম্যাচে শফিউলের সংগ্রহ ছিল ১৩ উইকেট।
ভিনদেশি তারা
১০ ম্যাচে ২১০ রান করে গত বিপিএলের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন লেন্ডল সিমন্স। এবার তিনি খেলবেন খুলনার হয়ে। ওপেনিংয়ে পাবেন ক্যারিবীয় সতীর্থ আন্দ্রে ফ্লেচারকে। মিডল অর্ডারে থাকবেন সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক কেপলার ওয়েসেলস তনয় রিকি ওয়েসেলস। এছাড়া বোলিংয়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার বেন লাফলিন, পাকিস্তানের জুনায়েদ খান ও মোহাম্মদ আসগর। এছাড়া আছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বেনি হাওয়েল ও ক্যারিবীয় তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরানও।
কোচ
জাতীয় দলের সাবেক কোচ স্টুয়ার্ট ল থাকছেন খুলনার কোচ হিসেবে। এ বছর বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্ব নিয়ে এ দেশে এসেছিলেন ল। বাংলাদেশকেও প্রথমবারের মতো তুলেছিলেন বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। ল’র কাছে খুলনার প্রত্যাশা থাকবে এরচেয়েও বেশি কিছু।