• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    শেষ মূহুর্তের গোলে কপাল পুড়ল সিটির

    শেষ মূহুর্তের গোলে কপাল পুড়ল সিটির    

    আগের ম্যাচেই বার্সেলোনাকে এই মাঠে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। তিন দিন বাদে সেই ইতিহাদ স্টেডিয়ামেই মিডলসবরোকে হারাতে পারল না গার্দিওলার দল। ৯০ মিনিটে গোল হজম করে মেনে নিতে হয়েছে ১-১ গোলের ড্র। 

    গেল সপ্তাহে ওয়েস্টব্রমকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে অনেকদিন পর জয়ের মুখ দেখেছিলেন গার্দিওলা। তারপর বার্সেলোনার বিপক্ষে অসাধারণ পারফরম্যান্সে হারানো মনোবলের অনেকটাই ফিরে পেয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু তার প্রতিফলন দেখাতে আবারও ব্যর্থ গার্দিওলার দল। প্রিমিয়ার লিগে 'ধারাবাহিকতা' ধরে রাখা কতোটা কঠিন হয়ত সেটিই উপলব্ধি করছেন ম্যান সিটির স্প্যানিশ ম্যানেজার। 

    এবারের প্রিমিয়ার লিগে নতুন আসা মিডলসবরো গার্দিওলার দলের জন্য তেমন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না কখনোই। পুরো ম্যাচেও বজায় ছিল সিটির কতৃত্ব। গোলমুখে সিটিজেনদের ২৫ শটের বিপরীতে মিডলসবোরো নিতে পেরেছিল মাত্র ৫টি শট। আগুয়েরো, ডি ব্রুইনাদের বল পজেশনও ছিল ৭০ শতাংশের উপর। অনেকটা স্রোতের বিপরীতেই সিটিকে শেষ মূহুর্তে চমকে দিয়েছে মিডলসবরো।


    ম্যাচের অন্তিম মূহুর্তে বা প্রান্ত দিয়ে আসা ক্রসে হেড করে মিডলসবরো সমর্থকদের আনন্দে ভাসান মার্টেন ডি রুন। পুরো ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেও তীরে এসে তরী ডোবানোয় এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ম্যানচেস্টার সিটিকে। এ সপ্তাহে আর্সেনাল, লিভারপুল, চেলসি নিজেদের ম্যাচে জয় পেলে শীর্ষস্থান থেকে চারে নেমে যেতে হবে গার্দিওলার দলকে।

    অথচ প্রথমার্ধ শেষের আগে আগুয়েরোর গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বেশ স্বাচ্ছ্যন্দেই ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। নিজের সিটি ক্যারিয়ারের ১৫০ তম গোলের মাইলফলকটি আগুয়েরো ছুঁয়েছেন এই ম্যাচেই। সেই আনন্দ অবশ্য ম্যাচের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকল না।