আরেকটি আইরিশ মহাকাব্য
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
৫০ ওভারে ৩০৪/৭ (সিমন্স ১০২, স্যামি ৮৯, ডকরেল ৩/৫০)
আয়ারল্যান্ড ৪৫.৫ ওভারে ৩০৭/৬ (স্টার্লিং ৯২, জয়স ৮৪, ও ব্রায়েন ৭৯; টেলর ৩/৭১)
আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ম্যাচের আগের দিনই এসে হুংকার দিয়ে গিয়েছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দেওয়া তাদের পক্ষে খুবই সম্ভব। তখন অনেকেরই সেই কথাটা গর্বপ্রসূত মনে হতে পারে, আজকের ম্যাচের পর সেটা বলার উপায় নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একরকম হেসেখেলেই ৪ উইকেটে হারিয়ে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল আইরিশরা।
এক অর্থে অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে জয়টা অঘটন বলার উপায় নেই। বিশ্বকাপ আসলেই যে বদলে যায় আয়ারল্যান্ড! ২০০৭ বিশ্বকাপে প্রথমবার এসেই হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে। ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের সঙ্গে জয়টা তো রূপকথার অংশই হয়ে গেছে। নারাইন, পোলার্ডহীন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে তো তাদের খেলার জন্য হয়তো তর সইছিল না!
স্কোরকার্ড দেখে ঠিক বুঝে ওঠার উপায় নেই, অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩০৫ রানের বিশাল স্কোরটাও একরকম হেসেখেলেই টপকে গেছে আইরিশরা। পোর্টারফিল্ড-স্টার্লিং মিলে ভিতটা এনে দিয়েছিলেন, ২৩ রান করে পোর্টারফিল্ড আউট হয়ে গেলেও স্টার্লিং সেঞ্চুরিটা পেয়ে আবেন বলেই মনে হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত আউট হয়ে যান ৯২ রানে। তবে নিল ও ব্রায়েন ও এড জয়েস দিনটা নিজেদের করে নেবেন বলেই যেন পণ করেছিলেন। ৮৪ রান করেছেন জয়স, আর নিল ও ব্রায়েন ৮২ রান করে ফিরেছেন দলকে জিতিয়েই। শেষদিকে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেললেও জয় নিয়ে সংশয় জাগেনি কখনোই, ৪ ওভারেরও বেশি থাকতেই জিতে গেছে!
অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৩০৪ হওয়ারই তো কথা ছিল না। ৭৮ রানে ৪ উইকেট নেই, এরপর ৯ রান পরে পঞ্চম উইকেটেরও পতন। স্বভাববিরুদ্ধ নড়বড়ে এক ইনিংস খেলে ফিরে গেছেন গেইল, নেই স্যামুয়েলসও। সেখান থেকে দলকে টেনে তুললেন লেন্ডল সিমন্স ও ড্যারেন সামি। পিঠের ব্যথা নিয়েও সামি চালিয়েছেন ঝড়, ওপাশ থেকে সিমন্সও সঙ্গী হয়েছেন তাঁর। দুজন মিলে শেষ ২০ ওভারে তুলেছেন ১৯৮ রান, ২০০১ সালের পর এটাই তাদের শেষ ২০ ওভারে সর্বোচ্চ রান। স্যামি ৮৯ রান করে আউট হয়ে গেলেও সিমন্স পেয়েছেন নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।