অনুশীলনে কোহলির "মুখোশ" কেন?
দিনে দিনে ক্রিকেট হয়ে উঠছে ফিটনেসময়। নিজেদের ফিট রাখার জন্য অকাতরে ঘাম ঝরাচ্ছেন বিশ্বজোড়া ক্রিকেটাররা। এঁদের মধ্যে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। অনুশীলনের সময় তিনি ব্যবহার করছেন এমন এক মাস্ক যা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দেয়।
পার্থ টেস্টে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে অস্ট্রেলীয় ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে রান আউট করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ফিল্ডার টেন্ডা বাভুমা। এমন কিছু পারফরম্যান্স আজকাল দারুণভাবে ঘুরিয়ে দিচ্ছে খেলার মোড়। ফিটনেসের গৎবাঁধা ম্যানুয়াল ছাড়িয়ে নিজেকে তাই অনন্য উচ্চতায় তোলার চেষ্টা করছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এমনিতে ফিটনেস সচেতন হিসেবে সুখ্যাতি আছে তাঁর। কিন্তু এবার তিনি ব্যবহার করছেন এমন কিছু যা মার্কিন লিগ এনএফএল কিংবা এনবিএ’র খেলোয়াড়দের ব্যবহার করতে দেখা যায়। প্রতিভার শেষ বিন্দু ব্যবহার করতে মরিয়া কোহলি অনুশীলনে ব্যবহার করছেন ‘হাই অলটিচ্যুড মাস্ক’, যা শ্বাস গ্রহণ কঠিন করে তোলে। ফলে অনুশীলনের সময় বহুগুণে বেড়ে যায় সহ্য ক্ষমতা, নিশ্চিত হয় অক্সিজেনের সর্বোত্তম ব্যবহার ও কমে যায় অনুশীলন পরবর্তী অবসাদ।
আইপিএলের সময় বিরাট কোহলির সঙ্গে ফিটনেস নিয়ে কথা বলেছিলেন ইংলিশ ওপেনার স্যাম বিলিংস। কোহলি তাঁকে বলেছিলেন, “যখন আমি ১২০ রানে অপরাজিত থাকি, তখনও এমনভাবে দৌড়াতে চাই যেন মনে হয় আমি ২০ রানে অপরাজিত।” বিলিংস মনে করেন এটাই কোহলির সঙ্গে অন্য ব্যাটসম্যানদের পার্থক্য। অনুশীলনের সময় কোহলির মাস্ক ব্যবহার নিয়ে বিলিংস বলেছেন, “কোহলি এমন একটা অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহার করে যা নাক-মুখ দিয়ে অক্সিজেন গ্রহণ কমিয়ে দেয়। এটা আপনার ট্রেনিংকে আরও কার্যকর করে তোলে।”
ভারত ও ইংল্যান্ডের পাঁচ টেস্টের সিরিজ হতে পারে বিরাট কোহলি ও জো রুটের মধ্যে অঘোষিত শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মঞ্চ। আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে রুট প্রথম ও কোহলি আছেন পনেরো নম্বরে। অনুশীলনে একাগ্র কহলির চেয়ে কোনোভাবেই নিজ সতীর্থকে পিছিয়ে রাখছেন না বিলিংস, “সে নিজের খেলা খুব ভালো জানে। এর মাঝে অন্য কিছু আসার সুযোগ নেই।” ব্যাট হাতে রুটের সাফল্যের একটা রহস্যও ফাঁস করেছেন ইংলিশ ওপেনার, “রুট অবশ্যই স্বীকার করবে সে ছেলেদের মধ্যে দ্রুততম নয়। কিন্তু সে প্রথম রানটা খুবই দ্রুত নেয়। প্রতিটি রান নেয়ার জন্য ওর যে চেষ্টা সেটাই অনন্য উদাহরণ।”