• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    বিস্ফোরক মারুফে ঢাকার জয়

    বিস্ফোরক মারুফে ঢাকার জয়    

    এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ১৬ ম্যাচে ৫০০ রান করেছিলেন মেহেদী মারুফ। দুর্দান্ত সেই ফর্ম বিপিএলেও টেনে এনেছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের ওপেনার। তাঁর অপরাজিত ৪৫ বলে ৭৫ রানের ওপর ভর করে ২৪ বল বাকি থাকতেই গতবারের রানার্স আপ বরিশাল বুলসকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা।

    ১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই জয়ের ভিত্তি পেয়ে যায় ঢাকা ডায়নামাইটস। মেহেদী মারুফ ও কুমার সাঙ্গাকারা গড়ে তোলেন ৮৮ রানের অসাধারণ জুটি। যার মুখ্য ভূমিকাতেই ছিলেন ২৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান মেহেদী। ৫ চার ও ৫ ছয়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের আক্রমণকে ছত্রখান করে দেন টাঙ্গাইলের এই ব্যাটসম্যান। ওপেনিং সঙ্গী কুমার সাঙ্গাকারা ৩০ রান করে ফিরে গেলে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়েন মারুফ। এরপর ২৩ বলে ২০ রান করে সাকিব ফিরে গেলেও মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে অপরাজিত থেকেই খেলা শেষ করে আসেন এই ওপেনার।

    গতবার এই বরিশাল বুলসের হয়েই বিপিএলে খেলেছিলেন মেহেদী মারুফ। খুব একটা ভালো কাটেনি সেবার। ১০ ম্যাচে করেছিলেন ১২৬ রান। কিন্তু এবারের বিপিএলের প্রথম ম্যাচেই ব্যাট হাতে দেখালেন দুর্দান্ত ঝলক। ঢাকার সমর্থকদের মধ্যে রোমাঞ্চ ছড়ালো তাঁর এমন কিছু শট, যা এতদিন খেলতে দেখা যেত কেবল বিদেশি ক্রিকেটারদেরই।এর পুরস্কার হিসেবেই তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।

    এর আগে বিবর্ণ শুরুর পরও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও শাহরিয়ার নাফিসের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ১৪৮ রান করে বরিশাল। ৩৪ বলে ৫৫ করে নাফিস আউট হলেও ৩৬ বলে ৫০ করে অপরাজিত থেকেন মুশফিক। ব্রাভোর বলে নাসিরের মুনাভীরারা নেওয়া ক্যাচটা তো অনেকদিনই মনে থাকবে।

    বিপিএলের দ্বিতীয় এই ম্যাচকে বলা যেতে পারে বোলারদের ম্যাচও। বরিশালের বিপক্ষে ঢাকা নয় জনকে ব্যবহার করে বল করতে, পরে বরিশালও ব্যবহার করে সাত জন বোলার। অবশ্য সাকিব আল হাসানের মতো সৌভাগ্যের ছোঁয়া জোটেনি বরিশাল অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের কপালে।