এমন ইনিংস আগেও খেলেছি: মারুফ
সাঙ্গাকারা, সাকিব, ব্রাভো, রাসেলদের আড়ালে তাঁকে সেভাবে নিশ্চয় কেউই নায়ক হিসেবে ভাবেনি। গত বিপিএলে ১০ ম্যাচ খেলে ১২৬ রান করা মেহেদী মারুফ নিজেও কি ভেবেছিলেন? তবে ঢাকার জয়ের মূল কুশীলব এই ব্যাটসম্যানই ছিলেন, মাত্র ৪৫ বলে ৭৫ রান করে ঢাকাকে এনে দিয়েছেন ৮ উইকেটের জয়। তবে মারুফ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এমন ইনিংস এই বছরেই খেলেছেন।
এই বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেই প্রাইম ব্যাঙ্কের হয়ে ১৬ ম্যাচে ৫০০ রান করেছেন। মারুফ সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজেই বললেন, "প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর সঙ্গে আমার এরকম একটা ইনিংস ছিল।" সেটিতে মারুফ ৮২ বলে ৬৯ রান করেছিলেন। গতবারের বিপিএলে অবশ্য ছিলেন বরিশালের হয়ে। দুইবারই এবারের দল ঢাকাকে হারিয়েছিল বরিশাল। শেষের ম্যাচটিতে ৩৭ রান করে বরিশালের জয়ে অবদান রেখেছেন মারুফও। সেটিও তিনি মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি।
মারুফ অবশ্য একটা ব্যাপার মনে করিয়ে দেননি। বড় ইনিংস খেললে সেখানে দুইয়ের বেশি যেন ছয় থাকবেই। আজই তো পাঁচবার বল আছড়ে ফেললেন সীমানার ওপারে। আল আমিনের বলে তো একবার বল গ্যালারির দোতলাতেই পাঠিয়ে দিলেন। প্রিমিয়ার লিগে সর্বশেষ যেবার আবাহনীকে হারিয়েছেন, সেখানেও মারুফের ৬৯ রানের ইনিংসে ছয় ছিল তিনটি। তার আগে ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে ৫৫ রানের ইনিংসেও মেরেছিলেন তিনটি ছয়। গতবার বিপিএলে ঢাকার সঙ্গে ৩৭ রানের ইনিংসেই ছয় ছিল দুইটি। "টি টোয়েন্টিটা আমার সাথে যায়। আমি ছয় মারতে বেশি পছন্দ করি-" মারুফের কথাটা তাই একদমই ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে আজ মারুফ প্রতিপক্ষ স্পিনার মেহেদী হাসানকে কভার ড্রাইভে মারা চারটাই বেশি এগিয়ে রাখছেন।
সেজন্য কৃতিত্ব কোচ খালেদ মাহমুদকেও দিলেন, "সুজন ভাইকে কোচ হিসেবে পাওয়া আমার জন্য ছিল ভাগ্যের ব্যাপার। খুবই ভালো একজন কোচ তিনি। শুরু থেকেই আশ্বস্ত করেছেন, আমি খেলার সুযোগ পাব। "
কোচের আস্থার প্রতিদান নিশ্চয় সামনেও দিতে চাইবেন টাঙ্গাইলের ২৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।