• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    বোলার মাহমুদউল্লাহই "ট্রাম্পকার্ড"

    বোলার মাহমুদউল্লাহই "ট্রাম্পকার্ড"    

    কী মনে হচ্ছিল আর কী হয়ে গেল! চোখের সামনে থাকা জয়টা মরীচিকার মতো মিলিয়ে যেতে দেখলো রাজশাহী কিংস। যে জয় ছিল স্পর্শ করার দুরত্বে, তা-ই শেষ ওভারের নাটকীয়তায় বেরিয়ে গেল মুঠো গলে। যার পেছনে পুরো অবদানই খুলনা টাইটানস অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। শেষ ওভারে তিন উইকেট নিয়ে এবারের বিপিএলের প্রথম শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে দলকে ৩ রানে জয় এনে দিয়েছেন খুলনা অধিনায়ক। ব্যাট হাতে ৩২ রান করার পর বোলিংয়ে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।

    শেষ ওভারে জয়ের জন্য রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল ৭ রান। ক্রিজে ছিলেন মোহাম্মদ সামি ও আবুল হাসান রাজু। ওভারের প্রথম দুই বলে একটি করে রান নেন রাজু ও সামি। তৃতীয় বলটি খুলনা সমর্থকদের হতাশ করে দিয়ে ওয়াইড দেন মাহমুদউল্লাহ। জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন মাত্র চার রান। মনে হচ্ছিল অনায়াসেই জিতে যাবে রাজশাহী। কিন্তু পরের বলেই আঘাত হানেন খুলনা অধিনায়ক। লং অফে আরিফুল হকের ক্যাচ বানিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠান আবুল হাসান রাজুকে। পরের বলেই আবার উইকেট, এবারে পরিষ্কার বোল্ড হন মোহাম্মদ সামি। এরপরের বলটায় কোন রান করতে পারেননি শেষ ব্যাটসম্যান নাজমুল ইসলাম অপু। কিন্তু শেষ বলে আর বাঁচতে পারলেন না। ক্যারিবীয় উইকেটকিপার নিকোলাস পুরান তাঁকে স্টাম্পড করে দিলে ৩ রানে ম্যাচ জিতে যায় এবারের বিপিএলে নবাগত খুলনা টাইটানস।

    অথচ এই ম্যাচটি হতে পারতো রাজশাহী কিংসের পেসার আবুল হোসেন রাজুর। বিপিএলের ২২ ম্যাচে আবুল হাসান রাজুর উইকেট ছিল মোটে ১৯টি। সেই তাঁরই যেন নবজন্ম হলো আজকের ম্যাচে। ৪ ওভার বল করে ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের যেকোন বোলারের জন্য এটাই বিপিএলে সেরা পারফরম্যান্স। সব মিলিয়ে বিপিএলের চতুর্থ সেরা।  

    দারুণ বল করেছেন খুলনার পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খানও। মাত্র ২৩ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। তাঁর নতুন বলের সঙ্গী শফিউল ইসলাম দুটি ও বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ আসগর নিয়েছেন ১টি উইকেট।

    টস জিতে ব্যাট করতে নেমে কুড়ি ওভারে ১৩৩ রান করেছিল খুলনা টাইটানস। সর্বোচ্চ ৩২ রান করেছিলেন অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান রিকি ওয়েসেলস ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ১৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহী কিংসের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ বলে ৬৪ রান করেছিলেন ওপেনার মুমিনুল হক। ২৩ বলে ৩১ রান করেছিলেন রাজশাহী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি।  ৫ম উইকেটে ৫২ রানের জুটি গড়ে যে জয় তাঁরা নিয়ে এসেছিলেন দুহাতের আলিঙ্গনে, শেষ ওভারের নাটকীয়তায় তাই মিলিয়ে গেছে যাদুমন্ত্রের মতো।