আর কোনো বিকল্প না থাকাতেই মাহমুদউল্লাহ
শেষ ওভারে দরকার ছিল ৭ রান, হাতে উইকেট আরও তিনটি। ক্রিজে আবুল হাসান রাজু ও মোহাম্মদ সামি। ম্যাচটা রাজশাহী কিংসেরই হাতের মুঠয় ছিল। খুলনা টাইটানসের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর হাতে তখন বিকল্প নেই। দুই স্ট্রাইক বোলার জুনায়েদ খান ও শফিউল ইসলামের ওভার আগেই শেষ হয়ে গেছে। মাহমুদউল্লাহ চাইলে দুই স্পিনার শুভাগত বা কাপালির কাউকে বল দিতে পারতেন। কিন্তু বল হাতে নিলেন নিজেই। খুলনাকে এনে দিলেন ৩ রানের দারুণ এক জয়।
কিন্তু ওই সময় নিজেই কেন বল নিলেন মাহমুদউল্লাহ? ম্যাচ শেষে খুলনা অধিনায়ক জানাচ্ছেন, সেটি ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না, “শেষের দিকে বোলার বলতে আমার ভরসা ছিল শফিউল ও জুনায়েদ। মাঝখানে জুনায়েদকে এনেছিলাম একটা উইকেটের জন্য। শফিউলকে পরে নিয়ে এসেছিলাম, একটা ব্রেক থ্রু দরকার ছিল। স্যামির উইকেটটা সে এনে দিয়েছে। আর শেষ ওভারে আর কোনো বিকল্প ছিল না বলেই আমাকে আসতে হয়েছে।”
প্রথম দুই বলে দুই রান দেওয়ার পর একটা ওয়াইড। খুলনার হার তখন সময়ের ব্যাপার। পর পর দুই বলে মাহমুদউল্লাহ ফিরিয়ে দিলেন আবুল হাসান ও সামিকে। পরের দুই বলে দরকার চার রান, মাহমুদউল্লাহ দিলেন মাত্র এক রান। খুলনা অধিনায়ক অবশ্য বলছেন, শেষ দুই বলেই শুধু একটু চাপে ছিলেন, “পাঁচ ও ছয় নাম্বার, বিশেষ করে শেষ বলে একটু চাপ ছিল। ভালো জায়গায় বল করতে পারলে, ভাগ্য ভালো থাকলে ম্যাচ জিততেও পারি।”
স্বীকার করেছেন, ম্যাচটা আসলে রাজশাহীরই ছিল, “এ ধরনের ম্যাচ তো খুব কম দেখা যায়। ছয় বলে সাত রান খুব একটা কঠিন নয়। আমার মনে হয় ওদের জন্য ম্যাচটা সহজই ছিল। আরেকটু ঠিকঠাক সুযোগগুলো কাজে না লাগালে ওরাই জিতত।”