স্লোয়ার দিয়েই রাজুর রেকর্ড
ইনিংসের নবম ওভারে যখন বল করতে এলেন আবুল হাসান রাজু, ততক্ষণে খুলনা টাইটানস তুলে ফেলেছে ৫৮ রান। সপ্তম বোলার হিসেবে বল করতে এসেই ধাক্কা দিলেন রাজশাহী কিংসের পেসার। রিকি ওয়েসেলস ৩২ রান তুলে ফেলেছিলেন, তাঁকে ফিরিয়ে দিলেন রাজু। তারপর নিজের পুরো স্পেলে তুলে নিয়েছেন আরো চারটি উইকেট। শেষ পর্যন্ত তাঁর বোলিং ফিগার দাঁড়িয়েছে ২৮ রানে ৫ উইকেট। যা বিপিএলে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সেরা। সংবাদ সম্মেলনে এসে ২৪ বছর বয়সী পেসার জানিয়েছেন গতির বৈচিত্র্য আনার কারণেই তিনি সাফল্য পেয়েছেন।
বিপিএলের ২২ ম্যাচে যে রাজুর উইকেট ছিল মোটে ১৯টি। তিনিই শেষ পর্যন্ত হাজির হলেন খুলনা টাইটানসের হন্তারক রূপে। বিপিএলের চতুর্থ আসরের প্রথম ম্যাচেই এমন পারফরম্যান্স নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে এই পেসারের। এ ম্যাচে উইকেটের উপযোগী পরিকল্পনা কাজে লাগিয়েই সাফল্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাজু, “আমরা সবাই জানি টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের খেলা। বোলারদের তেমন কিছু করার থাকে না। উইকেট দেখে মনে হচ্ছিল বল একটু ধরবে। আমার এ নিয়ে নিজস্ব পরিকল্পনা ছিল। হয়তোবা এ কারণেই আজকে আমি সাফল্য পেয়েছি।”
স্লো বলের দারুণ ব্যবহার করেছেন রাজু। বলেছেন প্র্যাকটিসে এ নিয়ে অনেক কাজ করেছেন তিনি, “স্লোয়ার নিয়ে অনেক কাজ করেছি। ইমরান স্যার (কোচ সারওয়ার ইমরান) এ নিয়ে অনেক সাহায্য করেছেন। ইনশা আল্লাহ তার ফল পেয়েছি।”
এটাকেই নিজের শক্তির জায়গা মনে করেন রাজশাহী কিংসের এই পেসার, “কিছু কিছু মানুষের কিছু জিনিস থাকে। বলতে পারেন এটা আমার শক্তির জায়গা। এটা নিয়ে সব সময় কাজ করি প্র্যাকটিসে।”
তিনি ভালো বল করলেও দল জিততে পারেনি। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় জয়ের তরী ডুবে গেছে তীরে পৌঁছানোর ঠিক আগ মুহূর্তে। শেষ ওভারে তাঁর আউটের পরই ধস নেমেছে রাজশাহীর ব্যাটিংয়ে। সে সময়কার পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করে রাজু জানিয়েছেন, “ সে সময় আমাদের পরিকল্পনা ছিল শেষ পর্যন্ত খেলা। আমি সিঙ্গেল নিতে থাকলে হয়তো তেমন (খারাপ) কিছু হতো না। কিন্তু টি-টোয়েন্টি এমনই।”