• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    শেহজাদ ঝড়ে রংপুরের জয়

    শেহজাদ ঝড়ে রংপুরের জয়    

    এবারের বিপিএলে রানের ফল্গুধারা এখনো সেভাবে ছোটেনি। সে হিসেবে চিটাগং ভাইকিংসের দেয়া ১২৫ রানের লক্ষটিকে মোটেই ছোট বলা যায় না। কিন্তু রংপুর রাইডার্সের আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদের দুর্দান্ত ব্যাটিং সেটাকেই শেষ পর্যন্ত বানিয়ে দিলো অপর্যাপ্ত। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন রংপুরের আইকন খেলোয়াড় সৌম্য সরকার। দুজনে গড়ে তোলেন ৭৭ রানের ওপেনিং জুটি। ফলে ৩০ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটের দাপুটে জয় নিয়ে এবারের বিপিএলে শুভ সূচনা করেছে রংপুর।  

    ৫২ বলে অপরাজিত ৮০ রানের এক বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন মোহাম্মদ শেহজাদ। যাতে ছিল ১১টি চার ও ৩টি ছয়। ছয় তিনটির একটি ছিল তাঁর আফগান সতীর্থ মোহাম্মদ নবীর বলে। অন্য দুটি অন্য দুটি এসেছে তাসকিন আহমেদের করা ১৫তম ওভারে। সে ওভারে মোট ১৭ রান নিয়ে দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন শেহজাদ। এটা ছিল টি-টোয়েন্টিতে আফগান ওপেনারের চতুর্দশ ফিফটি।ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন তিনিই। 

    দারুণ সূচনা করেছিলেন রংপুরের আইকন খেলোয়াড় সৌম্য সরকারও। ২৫ বলে ২৩ রান করে টাইমাল মিলসের শিকার হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে তিনি ১টি চার ও দুটি ছয়। টাইমাল মিলস ও আবদুর রাজ্জাকের বলে মারা ছয় দুটো মনে করিয়ে দিচ্ছিক পুরনো সৌম্যকে। যাঁর ব্যাটিং ঝড়ে কুপোকাত হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত টাইমাল মিলসের বলেই উইকেটের পেছনে এনামুল হক বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান রংপুরের ওপেনার। পরে আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ মিঠুন। ১৫ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

    টসে জিতে চিটাগং ভাইকিংসকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল রংপুর। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বেশিদূর যাওয়া হয়নি তাদের। ১২৪ রানেই গুটিয়ে যায় বন্দর নগরীর দলটি। সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন শোয়েব মালিক। রংপুরের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন সোহাগ গাজী ও রিচার্ড গ্লিসন।

    আগামীকাল সন্ধ্যায় খুলনা টাইটানসের মুখোমুখি হবে রংপুর রাইডার্স।