• ভারত-ইংল্যান্ড
  • " />

     

    স্টোকসের ‘জীবন থেকে নেয়া’

    স্টোকসের ‘জীবন থেকে নেয়া’    

    যদি প্রয়াত জহির রায়হান তাঁর কালজয়ী সিনেমা ‘জীবন থেকে নেয়া’ আবারো চিত্রায়িত করতেন, নায়ক হিসাবে রাজ্জাকের জায়গায় বেন স্টোকসকে নিলে মন্দ হতো না! শুনে অবাক হচ্ছেন? ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা দেখে তো এটাই মনে হচ্ছে! ‘সৌভাগ্য’ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছিল না এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানের। একের পর এক জীবন পেয়ে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। ভারতীয় ফিল্ডারদের ‘দয়ায়’ ইংল্যান্ডও করেছেন পাহাড়সমান স্কোর, ৫৩৭ রানে অলআউট হয়েছে তারা।

     

    বল ঠিকমতো তুলে থ্রো না করতে পারায় বিরাট কোহলি অনুভূতিহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন অমিত মিশ্রর দিকে। প্রথম ইনিংসে ভারতের ফিল্ডিংয়ের দুর্দশার চিত্র ফুটে উঠেছে এই একটি মুহূর্তেই। ক্যাচ মিসের মহড়া, রান আউট করতে না পারা, মিস ফিল্ডিং; সব মিলিয়ে পুরো ভারতীয় দলকেই বিপর্যস্ত লেগেছে মাঠে।

     

    ঋদ্ধিমান সাহা হয়ত আজকের দিনটা ভুলে যেতেই চাইবেন। সেই শুরু থেকেই নতুন বলটা তাঁর সাথে একটু বেশিই ছেলেখেলা করছে! উমেশ যাদবের বল উইকেটের পিছন থেকে ধরতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল তাঁকে। স্টোকসের তখন ৬০ রান, যাদবের বল তাঁর ব্যাটের কোনায় লাগল। কিন্তু ঋদ্ধিমানের গ্লাভস থেকে ফসকে গেলো ক্যাচ। পরের ওভারেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি! ৬১ রানে আবারো জীবন পেলেন স্টোকস।

     

    কোনভাবেই যেন স্টোকসের সেঞ্চুরি মিস না হয় এরকম প্রতিজ্ঞাই হয়ত করেছিলেন ভারতীয়রা নাহলে নার্ভাস নাইনটিতে আসার পর আবারো সাজঘরে ফেরা থেকে বেঁচে গেলেন কীভাবে! ১০৪ রানের মাথায় আবারো জীবন পান, জীবনদাতা কে বলুন তো? সেই ঋদ্ধিমান সাহা! অশ্বিনের বলে ডাউন দা উইকেটে খেলতে গিয়ে ব্যাটের ভিতরে অংশে লেগেছিল বল। ক্যাচ তো ধরতে পারেননি, উল্টো স্ট্যাম্পিংও মিস করেছেন ঋদ্ধিমান। আরও দুইবার বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন, কিন্তু পড়েছে "নো ম্যানস ল্যান্ডে।"

     

    কালও প্রথম দুই ওভারেই কুকের ক্যাচ ছেড়েছিলেন অজিংকা রাহানে ও কোহলি। ষষ্ঠ ওভারে হাসিব হামিদের ক্যাচ ফেলেন মুরালি বিজয়।