• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    খুলনার ৪৪ রানের লজ্জা

    খুলনার ৪৪ রানের লজ্জা    

    শেষ ওভারের নাটকীয়তায় প্রথম ম্যাচ জিতে গিয়েছিল খুলনা টাইটানস। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই আশ্চর্য পতনের মুখে পড়তে হল সুন্দরবন কোলের দলটিকে। আজ রংপুর রাইডার্সের স্পিনারদের মায়াবী বিভ্রমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল অল আউট হয়েছে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৪৪ রানে। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এটি তৃতীয় সর্বনিম্ন রান। ৪৫ রানের লক্ষ্য বড় হয়ে দাঁড়ায়নি রংপুর রাইডার্সের সামনে। প্রথম ম্যাচ ৯ উইকেটে জিতে নেয়ার পর আজকের ম্যাচটাও ১২ ওভার বাকি থাকতেই ৯ উইকেটে জিতেছে রংপুর।

    শুরু থেকেই নড়বড়ে লাগছিল খুলনা টাইটানসের ব্যাটসম্যানদের। প্রথম ওভারেই ওপেনার নিকোলাস পুরানকে ফিরিয়ে দেন সোহাগ গাজী। মনে হচ্ছিল খুলনার ব্যাটসম্যানদের আরো ভোগাবেন এই অফ স্পিনার। কিন্তু প্রথম ওভারে ৬ রান দেয়ার পর তাঁকে আর বোলিংই দিলেন না রংপুর অধিনায়ক নাঈম ইসলাম। দেবেনই বা কী করে? বল হাতে শহীদ আফ্রিদি ও আরাফাত সানি যে ভেলকি দেখালেন তার পর আর বলার যে কিছুই থাকে না। ৩ ওভার বল করে ১২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন আফ্রিদি। পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে প্রথম দুই বলে রিকি ওয়েসেলস ও অলক কাপালিকে ফিরিয়ে দেন আফ্রিদি। পরে আউট করেছেন শুভাগত হোম ও নুর আলমকেও। নিজের খেলা সর্বশেষ দশটি টি-টোয়েন্টির কোনোটাতেই ১টির বেশি উইকেট পাননি পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। কিন্তু এ ম্যাচে যেন নিজেকে ফিরে পেলেন তিনি।

    আফ্রিদি যদি একদিক থেকে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে থাকেন অন্য দিকটা ছিল পুরোপুরি আরাফাত সানির নিয়ন্ত্রণে। ২ ওভার চার বল করে তিন-তিনটি উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। এজন্য কোনো রান-ই দেননি তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোন রান না দিয়ে তিন উইকেট নেয়ার এটা মাত্র দ্বিতীয় নিদর্শন। এর আগে শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি স্পিনার দিনুকা হাট্টিয়ারাচ্চি ঘরোয়া লিগের খেলায় প্রথম গড়েছিলেন এ কীর্তি।

    ৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৬ রানের মাথায় ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদের উইকেটটি হারায় রংপুর রাইডার্স। এরপর আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুন। সৌম্য ১৩ ও মিঠুন ১৫ রান করে দলকে নিয়ে যান পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।