রেকর্ডের জন্য জানতেনই না সানি!
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছিলেন প্রিমিয়ার লিগে। এরপর জাতীয় লিগেও খেলেছেন। কিন্তু ঠিক আগের সেই আরাফাত সানিকে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে বিপিএলে যেন নিজেকে চেনাতে শুরু করলেন। প্রথম ম্যাচে ১৯ রান দিয়ে পেয়েছিলেন ১ উইকেট। কাল তো কোনো রান দিয়েই পেয়ে গেছেন তিন উইকেট। অথচ আরাফাত সানি সেটা জানতেনই না! তার চেয়েও বড় ব্যাপার, সেটি তিনি জানিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনের জন্য নির্ধারিত কক্ষে নয়, প্রেসবক্সে এসে।
রংপুর রাইডার্সের হয়ে নিজের প্রথম ওভারে মেডেন পেয়েছিলেন সানি। ওই ওভারে অবশ্য কোনো উইকেট পাননি, তবে আবদুল মজিদ রান আউট হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ওভারে করেছেন জোড়া আঘাত, ফিরিয়ে দিয়েছেন আরিফুল ও জুনায়েদকে। ওই ওভারটাও ছিল মেডেন। শেষ ওভারেও কোনো রান না দিয়েই আসগরকে আউট করে মুড়ে দেন খুলনার লেজ। টি-টোয়েন্টিতে কোনো রান না দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়ার এটি দ্বিতীয় কীর্তি। এর আগে শ্রীলঙ্কার ক্লাব দল চিলাউয়ের স্পিনার দিনুকা হেত্তিয়ারাচ্চি করেছিলেন এই কীর্তি। অথচ সানি ভেবেছিলেন, বড়জোর নিজের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড হয়েছে, "প্রথম ওভারটা যে মেডেন ছিল সেটা আসলে আমি বুঝিইনি। আবার শেষ বলে লেগ বাই ছিল, আমি ভেবেছি ওটাও রান হয়ে গেছে। আমার পরিকল্পনা ছিল যত কম রান দেওয়া যায়। রেকর্ড যে হয়েছে সেটা জানতাম না।"
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে খুব একটা ভালো করতে পারছিলেন না। সানি তাই মানলেন, বিপিএলের আগে একটু স্নায়ুচাপেই ছিলেন, "আমি আসলে একটু টেনশনে ছিলাম, অনেক দিন পর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমেছি। আর গত দুইটি ম্যাচ খেলার পর মনে হয় বেশ ছন্দে আছি।" দলের কোচ জাভেদ ওমর বেলিমকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
কিন্তু সেই কথা বলতে হলো প্রেসবক্সে এসে। বিসিবির নিরাপত্তাকর্মীদের হয়রানির জন্য আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন বর্জন করেছিলেন সাংবাদিকেরা। পরে রংপুরের এক কর্মকর্তা প্রেসবক্সে সানিকে নিয়ে এলে সেখানেই হয়ে যায় অনানুষ্ঠিক সম্মেলন।