• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    শেষ ওভারে আবারও মাহমুদুল্লাহ বীরত্ব

    শেষ ওভারে আবারও মাহমুদুল্লাহ বীরত্ব    

    নায়ক আবারও সেই মাহমুদউল্লাহ! রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের স্মৃতি কী দুর্দান্তভাবেই না ফিরিয়ে আনলেন খুলনা অধিনায়ক। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় আবারও প্রতিপক্ষের মুঠো থেকে ছিনিয়ে আনলেন জয়। আজ চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর বীরত্বে চট্টগ্রামকে চার রানে হারিয়েছে খুলনা। তুলে নিয়েছে বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় জয়।

    কী বলবেন একে? বলতে পারেন অবিশ্বাস্য, বলতে পারেন অকল্পনীয় কিন্তু কোনো বিশেষণই যথেষ্ঠ নয় মাহমুদউল্লাহর কীর্তির জন্য।  শেষ ওভারে সমীকরণ ছিল অনেকটা রাজশাহীর বিপক্ষে সেই বিখ্যাত জয়ের মতোই। ৬ বলে প্রয়োজন ৬ রান। ক্রিজে আছেন ২০ বলে ৩৮ রান করা মোহাম্মদ নবী ও ১৩ বলে ১৯ রান করা চতুরঙ্গ ডি সিলভা। হাতে তখনও চার উইকেট। মনে হচ্ছিল চট্টগ্রামের জয় কেবলই সময়ের ব্যাপার। সেই ম্যাচের মতো শেষ ওভার করতে নিজেই এগিয়ে আসলেন খুলনা অধিনায়ক। এরমধ্যে দুই ওভার করে ফেলেছেন তিনি। রান দিয়েছেন ২৩। কে ভেবেছিল শেষ ওভারের ছয় বলে তিনি আবারও উল্টে দেবেন পাশার দান? কিন্তু অভাবনীয় সেই বীরত্বই দেখালেন এই অলরাউন্ডার।

    শেষ ওভারের প্রথম বলেই এক রান নিলেন মোহাম্মদ নবী। স্ট্রাইকে এলেন শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার চতুরঙ্গ ডি সিলভা। দ্বিতীয় বলেই তাঁকে উইকেটকিপার নিকোলাস পুরানের ক্যাচ বানালেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর উইকেটে এলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আবদুর রাজ্জাক। পরের বলে কোনো রান নিতে পারলেন না রাজ্জাক। ওভারের চতুর্থ বলটা তুলে মারতে গিয়ে শুভাগত হোমের তালুবন্দী হলেন মাহমুদউল্লাহ। জয়ের জন্য খুলনার তখন প্রয়োজন দুই বলে পাঁচ রান। নন স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে ততক্ষণে স্ট্রাইক বদলে ব্যাটিংয়ে এসেছেন মোহাম্মদ নবী। ওভারের পঞ্চম বলে কোনো রানই নিতে পারলেন না তিনি। তাই শেষ বলে ছয় মারা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না সাবেক আফগান অধিনায়কের। শেষ বলে সে চেষ্টা করতে গিয়েও পারলেন না তিনি। মিড উইকেটে অলক কাপালির বিশ্বস্ত হাতে যখন বন্দী হলেন ততক্ষণে আনন্দের বাঁধ ভেঙ্গে উল্লাস শুরু করেছে খুলনার খেলোয়াড়রা। যুদ্ধজয়ী সেনাপতির মতো সে আনন্দের মধ্যমণি হয়ে থাকলেন রণক্লান্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। শেষ ওভারে বোলিংয়ের জন্য বাংলাদেশও বোধহয় পেয়ে গেলে একজন দুর্দান্ত স্পিনার।

    আগের ম্যাচগুলোর মতো এ ম্যাচটিও ছিল লো স্কোরিং। কুড়ি ওভারে ১২৭ রান করে খুলনা। ২২ রানে তিন উইকেট নেন চট্টগ্রামের আফগান স্পিনার মোহাম্মদ নবী। সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান।