রাজকোটে এগিয়ে ইংল্যান্ডই
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চতুর্থ দিন শেষে
ইংল্যান্ড ৫৩৭ ও ১১৪/০ (হামিদ ৬২*, কুক ৪৬*)
ভারত ৪৬২ (বিজয় ১২৬, পূজারা ১২৪, অশ্বিন ৭০; রশিদ ৪/১১৪)
রাজকোট টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে ম্যাচের পাল্লা কোন দিকে হেলে আছে? আপাতত নাটকীয় কিছু না হলে ড্রটাই মনে হচ্ছে সবচেয়ে সম্ভাব্য ফল, কিন্তু একটু হলেও তো জয়টা দৃষ্টিসীমায় দেখতে পাচ্ছে ইংল্যান্ড। সেই আশা প্রায় শেষ ভারতের, সেজন্য মিরপুরের মতো অমন অলৌকিক কিছুরই প্রার্থনা করতে হবে। চতুর্থ দিন শেষ ১০ উইকেট হাতে রেখে ১৬৩ রানে এগিয়ে ইংল্যান্ড, একটু হলেও তো ম্যাচটা তাদের দিকেই হেলে আছে।
রাজকোটের উইকেট অবশ্য বলছে, এই ম্যাচে কোনো ফল হবে সেটি বিস্ময়েরই হবে। চতুর্থ দিনেও খুব একটা পিচ থেকে খুব একটা ফায়দা নিতে পারেননি বোলাররা, সারাদিন মিলে পড়েছে ৬ উইকেট। তার মধ্যে চারটি আবার ভারতের টেল এন্ডারদের। প্রথম ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ৪৮৮ রানে অলআউট হয়েছে ভারত, ইংল্যান্ড লিড পেয়েছিল ৪৯ রানের। অ্যালিস্টার কুক ও হাসিব হামিদের কল্যাণে সেটি হয়ে গেছে ১৬৩।
রাজকোটের চতুর্থ দিনে যেন তৃতীয় দিনের পান্ডুলিপিটাই মঞ্চস্থ হলো। সকাল ও শেষের হাসুইটা ইংল্যান্ডের, মাঝে ম্যাচের লাগামটা নিজেদের কাছেই রেখেছে ভারত। আগের দিনের সঙ্গে ১৪ রান যোগ করে ৪০রানেই আউট হয়ে গেছেন বিরাট কোহলি, তার আগে ১৩ রানে ফিরে গেছেন অজিঙ্কা রাহানেও। তখন মনে হচ্ছিল, ইংল্যান্ডের লিডটা বেশ বড়ই হতে পারে। কিন্তু রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও ঋদ্ধিমান সাহা এরপর হাল ধরলেন, দুজন মিলে সপ্তম উইকেটে যোগ করলেন ৬৪ রান। সাহা অবশ্য আগেই ফিরে যেতে পারতেন, ৯ রানের সময় তাঁর ক্যাচ ছেড়েছেন জনি বেয়ারস্টো। অশ্বিন শেষ পর্যন্ত থেমেছেন ৭০ রানে। ৪ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সফলতম বোলার আদিল রশিদ।
তবে শেষ বিকেলে সেই হাসি আবার কেড়ে নিয়েছেন হামিদ ও কুক। অভিজ্ঞ সতীর্থের তুলনায় হামিদই ছিলেন বেশি স্বচ্ছন্দ, নিজের পূর্বপুরুষদের জন্মস্থান গুজরাটেই পেয়ে গেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। ১৯ বছর বয়সী টিন এজ ব্যাটসম্যান সেই ইনিংসটা তিন অঙ্কে নিয়ে যেতে চাইবেন আজ।