'আমার এখনও হাত ঘামছে'
স্বপ্নে তো লোকে কত কিছু দেখে। বাঙালি এক কবি বলেছিলেন স্বপ্নে মানুষ শোনে ‘মায়া-মন্ত্র-ধ্বনি।’ কিন্তু মাহমুদউল্লাহর কীর্তি যে ছাড়িয়ে গেছে স্বপ্নকেও। দুই-দুইটি ম্যাচে শেষ ওভারের বীরত্বে দলকে বিজয়ের বরমাল্য পরিয়েছেন খুলনা টাইটানস অধিনায়ক। আজ চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পরও যেন বিস্ময়ে বিমূঢ় এই অলরাউন্ডার। সংবাদ সম্মেলনে এসে বললেন, “আমার এখনো হাত ঘামছে।”
তিন ম্যাচে দুটি জয় পেয়েছে খুলনা টাইটানস। দুটোই প্রতিপক্ষের কাছ থেকে শেষ ওভারে ছিনিয়ে নেয়া। দুবারই মহীরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কী সেই কৌশল যা আজ শেষ ওভারে বদলে দিল চট্টগ্রামের জয়ের সমীকরণ? সংবাদ সম্মেলনে এসে মাহমুদউল্লাহ পরিষ্কার করলেন রহস্য, “পরিকল্পনা ছিল যে নবীকে যত সম্ভব কম স্ট্রাইক দেয়া যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল চতুরঙ্গের উইকেটটি।”
জয় ছিল চিটাগং ভাইকিংসের শ্বাস ফেলা দুরত্বে। সেটা জেনেও মনোবল হারাননি মাহমুদউল্লাহ, “ছয় বলে ছয় রান। উইকেটে দুজন সেট ব্যাটসম্যান। উইকেট খুবই ভালো ছিল। প্রথম বলে এক রান হওয়ার পর আস্তে আস্তে বিশ্বাসটা বাড়তে থাকে। উইকেটটা পাওয়ার পর সেটা আরও ভালো হয়।”
দুবার এভাবে জয়ের পর অবধারিতভাবে এসেছে এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সেই ১ রানে হেরে যাওয়া ম্যাচের প্রসঙ্গ। সে ম্যাচের অন্যতম কুশীলব মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন সে অবস্থায় আবার পড়লে জীবন দিয়ে চেষ্টা করবেন জয়ের জন্য, “টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে হারটা ভোলার মতো না। ওটা আমাদের জন্য অনেক বড় অপরচুনিটি ছিল। আমার মনে হয় ওই ম্যাচটার কাছে আজকের এই ম্যাচ কিছুই না। ওই হারের ক্ষত আমি জানি না কিভাবে পূরণ হবে। সারাজীবন মনে দাগ কেটে থাকবে ওই হার। যদি কোনদিন আবার ওরকম পরিস্থিতি আসে, আর যদি আমি থাকি, তাহলে চেষ্টা করবো আমার সর্বোচ্চটা দিতে, সম্ভব হলে আমার জীবন দিয়ে চেষ্টা করবো যাতে ফলাফলটা আমাদের পক্ষে যায়।”