ইংল্যান্ডকে জয় পেতে দিলেন না কোহলি
ইংল্যান্ড ৫৩৭ ও ২৬০/৩
ভারত ৪৮৮ ও ১৭২/৬
ফল: ম্যাচ ড্র
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মঈন আলী
ছুটির দিনে রাজকোটে খেলা দেখতে এসেছিল কয়েক হাজার দর্শক। গতদিন পর্যন্ত ম্যাচের অবস্থা দেখে কেউ হয়ত কল্পনাও করেননি শেষ সেশনে কী অপেক্ষা করছে! বিরাট কোহলির ব্যাটিং দৃঢ়তায় শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ড্র হয়েছে। দিনশেষে ইংল্যান্ড অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক হয়ত আফসোসই করেছেন। আরও কিছুক্ষণ আগে ডিক্লেয়ার দিলে হয়ত কিছু একটা হতেও পারত! গতবছরের আবুধাবি টেস্টের মত এবারো অল্পের জন্য ড্রয়ের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো তাঁকে।
বিনা উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু করেন অ্যালিস্টার কুক এবং হাসিব হামিদ। দুজনই সাবলিল ভঙ্গিতে খেলছিলেন ভারতীয় বোলারদের। মনে হচ্ছিল দুই ওপেনারই সেঞ্চুরি করে ফেলবেন। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি যখন সময়ের ব্যাপার, ঠিক তখনই আগ্রাসীভাবে খেলতে গিয়ে অমিত মিশ্রর বলে ৮২ রানে আউট হন হামিদ। তবে কুক তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৩০তম সেঞ্চুরি। এর মাধ্যমে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানকে ছাড়িয়ে গেলেন ইংলিশ অধিনায়ক। এটি ভারতের মাটিতে তাঁর পঞ্চম সেঞ্চুরি। ১৩০ রানে অশ্বিনের বলে সাজঘরে ফিরলে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। ভারতের লক্ষ্য দাড়ায় ৩১০ রান।
মাত্র দেড় সেশন বাকি। সবাই মোটামুটি ভেবেই নিয়েছিল হেসেখেলেই পার করে দেবে। কিন্তু কিসের কী! শূন্য রানেই ফেরেন গৌতম গম্ভীর। বিজয়- পুজারা জুটি প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন। তবে আদিল রশিদের জোড়া আঘাতে যখন বিজয়, পুজারা দুজই সাজঘরে ফেরেন, তখন কিছুটা হলেও বিপদের আভাস পাচ্ছিল ভারতীয়রা। অজিংকা রাহানে এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন যখন আউট হন, পুরো স্টেডিয়ামে পিনপতন নিরবতা। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের লেজকে ঘিরে রেখেছে ৪-৫জন ইংলিশ ফিল্ডার, প্রতি বলেই কিছু না কিছু হচ্ছে! তাহলে কি আবারো ফিরে আসতে যাচ্ছে ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনি টেস্টের সেই দুঃস্মৃতি?
নাহ, সেটা আর হয়নি। কারণ একটাই, কোহলি। তাঁর ৪৯ রানের হার না মানা ইনিংস প্রতি মুহূর্তেই ভারতকে বিশ্বাস যোগাচ্ছিল। একপ্রান্ত আগলে রেখে অধিনায়কসুলভ ইনিংস খেলে দলকে রক্ষা করেন।
ভারত ৬ উইকেটে ১৭২ রান করার পর শেষ হয় খেলা। ম্যান অফ দা ম্যাচ হয়েছেন ইংল্যান্ডের মঈন আলী। আগামী ১৬ নভেম্বর সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট হবে।