টানা তৃতীয় জয়ে শীর্ষে বরিশাল
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম ভাইকিংস ২০ ওভারে ১৬৩/৩ (তামিম ৭৫, জহুরুল ৩৬, এনামুল ২৭; আল-আমিন ৩৫/১, আবু হায়দার ৩১/১, রাব্বী ২১/১)
বরিশাল বুলস ১৯.৪ ওভারে ১৬৭/৩ (মালান ৭৮*, নাফিস ৬৫, মুশফিক ১০*; ইমরান ৩০/২, শুভাশিস ২৪/১)
ফলঃ বরিশাল বুলস ৭ উইকেটে জয়ী
প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে ধরাশায়ী হয়েছিল বরিশাল বুলস। হেরে গিয়েছিল ৮ উইকেটে। সেখান থেকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মুশফিকুর রহিমের দল। টানা তিনটি ম্যাচ জিতে উঠে গেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চিটাগ্ং ভাইকিংসকে ২ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে হারিয়েছে কীর্তনখোলা তীরের দলটি। ৬৫ রান করে দলের জয়ে দারুণ অবদান রেখেছেন বরিশালের ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফিস। ১৮৪ রান করে হয়েছেন এবারের বিপিএলে শীর্ষ রান সংগ্রাহক।
টসে জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন বরিশাল অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ওপেনিং জুটিতে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন তামিম ইকবাল ও জহুরুল ইসলাম। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ১১৬ রানের জুটি। যা এবারের বিপিএলে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ। বিস্ফোরক ব্যাটিং করেছেন তামিম ইকবাল। ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ বলে ৭৫ রান করেছেন ভাইকিংস অধিনায়ক। তিনি আউট হয়ে গেলে ধীরে ধীরে মন্থর হতে থাকে চট্টগ্রামের রানের গতি। ৩৪ বলে ৩৬ রান করেন জহুরুল, ১৯ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন এনামুল হক বিজয়। বরিশালের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন আল-আমিন হোসেন, আবু হায়দার ও কামরুল ইসলাম রাব্বী।
১৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জোশুয়া কবের উইকেট হারায় বরিশাল। তারপর দারুণভাবে ১৫০ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে তোলেন ডেভিড ম্যালান ও শাহরিয়ার নাফিস। ৪৮ বলে ৭৮ রানের ধামাকা ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ম্যালান। চারের চেয়ে ছক্কা মারাতেই দারুণ স্বচ্ছন্দ ছিলেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ৩ চারের পাশাপাশি মেরেছেন ৭টি বিশাল ছক্কাও। তাঁর ঝড়টা মূলত গেছে ডোয়াইন স্মিথের ওপর দিয়ে। তাঁর করা অষ্টাদশ ওভারে টানা তিনটি ছক্কা মারেন ম্যালান।
তবে শেষ পর্যন্ত এবারের বিপিএল বোধহয় হয়ে থাকবে শাহরিয়ার নাফিসের পুনর্জন্মের। চার ম্যাচে এই নিয়ে তৃতীয় ফিফটি করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। আজ ৫৯ বলে ৬৫ রান করার পথে মুশফিকুর রহিমকে টপকে হয়েছেন এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও। ৭ চারের সঙ্গে গ্রান্ট এলিয়টকে একটা ছক্কাও মেরেছেন বরিশালের ব্যাটসম্যান। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ৫৫ ও রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ৬৩ রান করেছিলেন তিনি। ১ রানে অপরাজিত ছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে। সব মিলিয়ে এবারের বিপিএলের চার ম্যাচে তাঁর রান হলো ১৮৪।
১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে শাহরিয়ার নাফিস ও থিসারা পেরেরাকে আউট করে চট্টগ্রামের হয়ে একটা সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন পেসার ইমরান খান। জয়ের জন্য বরিশালের তখন প্রয়োজন ছয় বলে সাত রান। শুভাশিস রায়ের করা শেষ ওভারে কোনো অঘটনের সুযোগ দেননি অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। দুটি চার মেরে তিনি দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। চার ম্যাচে তিন জয় নিয়ে বরিশালকেও তুলে নিয়েছেন পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।