• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    "উল্লাসের" রহস্য জানালেন মুশফিক

    "উল্লাসের" রহস্য জানালেন মুশফিক    

    শেষ ওভারে বরিশাল বুলসের প্রয়োজন ছিল সাত রান। শুভাশিস রায়কে দুটো চার মেরে জয়ের উল্লাসে মাতলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বরাবরই আবেগ প্রকাশের জায়গায় সংযত মুশফিক মেতে উঠলেন বুনো উল্লাসে। কেন এই পরিবর্তন? মৃদু হেসে বরিশাল অধিনায়ক বলেছেন, “এতো দিন দেখলাম ইমোশন দেখিয়ে কিছুই হয় না। এবার ভাবলাম সেটা চেঞ্জ করে যদি কিছু হয়।”

    টানা তিন ম্যাচ জিতে বরিশাল এখন পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। প্রসঙ্গটা উঠতেই তাই ফুরফুরে শোনাল মুশকিকের কণ্ঠ, “অন্যরকম কিছু নাই। দল জিতলে স্বাভবিকভাবে আনন্দ থাকে। তাই আছে। সব দলই অলমোস্ট ইকুয়াল আর সবাই হার্ড ওয়ার্ক করছে। পারফরম্যান্স ছাড়া আমাদের দেয়ার কিছু নাই। সেটাই দেয়ার চেষ্টা করছি। সাকসেসফুল হচ্ছি। ভালো লাগছে।”

    ইমরান খান জুনিয়রের করা ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে আউট হয়ে গেলেন দুই ব্যাটসম্যান। তাঁদের একজন ছিলেন সেট ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফিস অন্যজন থিসারা পেরেরা। সে সময় উইকেটে এসে ডেভিড মালানকে কী বলছিলেন মুশফিক? জানালেন নিজেই, “লাস্ট ম্যাচে দেখেছি, ছয় বলে ছয় রান করা ডিফিকাল্ট। স্নায়ুর ওপর নিয়ন্ত্রণ ঠিক থাকে না। শট খেলতে গিয়ে এক-দুই বল ডট হয়ে যায়। মালানকে বলেছিলাম প্যানিকড হওয়ার কিছু নেই। নরমাল ক্রিকেটিং শট খেললেই জয় আসবে। চেষ্টা ছিল প্রথম দুই-এক বলে একটা বাউন্ডারি মারার।”

    শেষ ওভারে মুশফিকের ব্যাটিং দৃঢ়তা জয় করেছে স্নায়ুচাপ। প্রসঙ্গক্রমে এলো ভারতের বিপক্ষে হেরে যাওয়া সেই ম্যাচের কথাও। উত্তরে মুশফিক বললেন, “ইন্ডিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচে যদি আমি ভালো ফর্মে থাকতাম তাহলে হয়তো বলটা ছয়ই হতো। আসলে ক্রিকেটে এমন হতেই পারে। এটা সত্য যে আজকে অনেক শান্ত ছিলাম। অন্যপ্রান্তে সেট ব্যাটসম্যান ছিল। বিশ্বাস ছিল সিঙ্গেল নিলেও ও ম্যাচ শেষ করতে পারবে।