• ভারত-ইংল্যান্ড
  • " />

     

    "আমরা এক-দুইজন খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করি না"

    "আমরা এক-দুইজন খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করি না"    

    চোটের কারণে আগে থেকেই অস্ট্রেলিয়া সফরে নেই এবি ডি ভিলিয়ার্স। প্রথম টেস্টে থেকেও শেষ পর্যন্ত থাকেননি ডেল স্টেইন। কাঁধের চোটের কারণে বল করতে পারেননি দ্বিতীয় ইনিংসে। সে টেস্ট জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। হোবার্টে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে দেখা গেল না দুজনের কাউকেই। ১২ বছর পর এই দুজনকে ছাড়া কোনো টেস্ট খেলতে নেমে আরো বড় সাফল্য পেল প্রোটিয়ারা। অস্ট্রেলিয়াকে হারালো ইনিংস ও ৮০ রানে। প্রথম দুটি টেস্ট জিতে দারুণ ফুরফুরে মেজাজে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। অ্যাডিলেডে সিরিজের ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের শেষ টেস্ট জিতেই সফরটা পূর্ণ করতে চান তিনি।
     

     


    অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলা সর্বশেষ দুটি সিরিজেই বিজয়ী দলের নাম দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারও সিরিজ শুরুর আগে প্রোটিয়াদেরই ফেভারিট বলা হচ্ছিল। কারণ টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে খেলা ৫ ওয়ানডের সিরিজে স্মিথদের ধবল ধোলাই করে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু কাজটা ছিল খুব কঠিন। স্টেইন-ডি ভিলিয়ার্স ছাড়াও দলে ছিলেন না পেসার মরনে মরকেল। প্রথম টেস্টে খুব বেশি অবদান রাখতে পারেননি তারকা ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা। দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছিলেন ১ রান। তারপরও দেশটির মাটিতে টানা তিন সিরিজ জিতেছে প্রোটিয়ারা মূলত দলীয় প্রচেষ্টাতেই। ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে গেছেন কুইন্টন ডি কক, ডিন এলগার ও জেপি ডুমিনিরা। বোলিংয়ে জ্বলে উঠেছেন কাগিসো রাবাদা, ভারনন ফিল্যান্ডার ও কাইল অ্যাবোটরা। উচ্ছ্বসিত ডু প্লেসি বাহবা দিয়েছেন সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে, “এই দলটা দারুণ ব্যতিক্রম। আমরা খুব কমই ভুল করেছি। পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে আমরা ছিলাম দারুণ ধারাবাহিক। আমরা এক-দুইজন খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে নেই। দলের সবাই প্রয়োজনের সময় দাঁড়িয়ে যাচ্ছে এবং দলের কাছে আপনি এটাই চাইবেন।”

    শেষ দুইবারের চেয়ে এবারের দক্ষিণ আফ্রিকা দল আরো বেশি আক্রমণাত্মক। আরো বেশি নির্দয়। চার বছর আগের সিরিজে প্রথম দুটি টেস্ট ড্র করে শেষ টেস্ট জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল প্রোটিয়ারা। আট বছর আগের সিরিজে প্রথম দুটি টেস্ট জিতে শেষ টেস্টে গিয়েছিল হেরে। এবারও দুই টেস্ট জিতে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ টেস্টে এবার আর কোনো সুযোগ দিতে চান না ডু প্লেসি, “আমাদের মিশন এখন এটাই। আমরা ২-১ কিংবা ২-০ তে সন্তুষ্ট থাকতে চাই না। আমরা অস্ট্রেলিয়াকে এমন এক অবস্থায় পেয়েছি যেখানে তারা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এবং সহসাই আমরা তাদের ছাড়ছি না। ওদের এমন অবস্থায় পাওয়া খুব কঠিন। তাই ৩-০ করতে যা যা করা প্রয়োজন আমরা করবো।”