চার উপমহাদেশীয়কে নিয়ে গর্বিত জাফর
সেই ১৮৯৬ সালে প্রথমবারের মতো কোনো উপমহাদেশীয় খেলোয়াড় খেলেছিলেন ইংল্যান্ডের হয়ে। তিনি ছিলেন ভারতের নবাবনগরের মহারাজা রণজিৎ সিংজী। রণজি নামেই যিনি বেশি পরিচিত। সেখান থেকে জল অনেক গড়িয়েছে। রাজকোটে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথমবারের মতো খেলেছেন চারজন উপমহাদেশীয় খেলোয়াড়। দলে উপমহাদেশীয় খেলোয়াড়দের এমন সমাগমকে স্বাগত জানিয়েছেন তরুণ ইংলিশ অলরাউন্ডার জাফর আনসারি।
রাজকোটে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন চার উপমহাদেশীয় খেলোয়াড়। তারা হলেন হাসিব হামিদ, মঈন আলী, আদিল রশিদ ও জাফর আনসারি। এঁদের মধ্যে হামিদ ছাড়া আবার পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মুসলমান। হামিদের পূর্বপুরুষ ছিলেন ভারতের গুজরাটের। জাতীয় দলে নিজের সম্প্রদায়ের এতজনকে একসঙ্গে পেয়ে ভীষণ আনন্দিত জাফর, “চারজন ব্রিটিশ মুসলমান একসঙ্গে খেলাটা সত্যিই অন্যরকম অভিজ্ঞতা। এটা অবশ্যই রোমাঞ্চকর ও গর্বের বিষয়। আমাদের নিয়ে অনেক লোকই গর্ব করে। সমাজের জন্যই বিষয়টা ভালো।”
জাফর আনসারির মা-বাবা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তাঁর বাবা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হলেও মা একজন ইংলিশ। মা-বাবার সুবাদে সমাজের উঁচুতলায় বাস জাফরের। পড়াশোনাও করেছেন বিখ্যাত ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি রাজনীতি ও সমাজবিজ্ঞানে ডবল ফার্স্ট ক্লাস নিয়ে অর্জন করেছেন স্নাতক ডিগ্রিও। নিজেকে তাই ঠিক কোনো রোল মডেল ভাবতে রাজি নন ২৪ বছর বয়সী ক্রিকেটার। তবে অন্যদের জন্য তিনি দারুণ গর্বিত, “মঈন, আদিল ও হাসিব তাদের নিজ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে দারুণ একটা কাজ করছে। এটা মোটেই কোন সহজ কাজ নয়। তারা হয়তো কেবল নিজেদের কাজটাই করছে। তবুও কাজটা সহজ নয়।
এক জরিপে দেখা গেছে ইংল্যান্ডের বিনোদন পর্যায়ের ক্রিকেট খেলুড়েদের ৪০ শতাংশই এশীয়। মঈন-আদিল-হাসিব-জাফরদের সাফল্য নিশ্চয়ই তাদের প্রেরণা জোগাবে। সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভনও প্রতিভার ভিত্তিতে এমন খেলোয়াড় নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছেন, যাতে এশীয়রা উৎসাহিত হয়।