ইংল্যান্ডের চিয়ারলিডার সাকলায়েন!
অবসর নিয়েছেন অনেক আগেই, বয়সও হয়ে গেছে ৪০ । সম্প্রতি ভারত সফরে আসা ইংল্যান্ড দলের বোলিং পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। কোচ হিসেবে এখন গুরুগম্ভীর একটা ভাবমূর্তইই থাকার কথা। তবে দলের তরুণ সদস্য জাফর আনসারি যা বললেন তাতে তো একটু অবাকই হতে হয়। সাকলায়েন মুশতাক নাকি দলের ‘চিয়ারলিডার’!
‘চিয়ারলিডারদের" যেটা কাজ তাহলে কি সাকলায়েনও নেচে গেয়ে মনোরঞ্জন করেন দলের? ব্যাপারটা আসলে তা নয়। জাফরের মতে সাকলায়েনের অনুপ্রেরণাই এটার কারণ, “তিনি এটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। দায়িত্ব নিয়েই সবকিছু বদলে ফেলতে চান না। তিনি অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের ‘চিয়ারলিডার’ হিসেবে কাজ করেন। তিনি আমাদের উৎসাহ দেন। এত সফল একজন মানুষ আমাদের কাছে এসে বলেন, “আমার মনে হয় তুমি ভালো বোলার, তুমি এই পর্যায়ে উইকেট নিতে পারবে”। এটা আপনাকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস যোগায়। টেস্ট ক্রিকেটের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
ইংল্যান্ড দলে বর্তমানে বেশ কিছু স্পিনার আছে। মঈন আলী, আদিল রশিদ, আনসারিদের জন্য সাকলায়েনের এই বন্ধুসুলভ আচরণ আশীর্বাদ হয়েই আসছে। রাজকোটে আদিল রশিদের বলে ভালোই ভুগেছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। সাকলায়েনের অভিজ্ঞতার জন্য এটা হয়েছে বলে মনে করেন আনসারি, “টেস্ট ম্যাচে কিভাবে চাপ সামলে বল করতে হয় এটা জানা খুব জরুরী। যখন আপনার সামনে প্রচুর দর্শক, আশেপাশে ক্যামেরা, তখন আপনাকে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিতে হয়। তিনি এই ব্যাপারটাই আমাদের মাঝে নিয়ে আসছেন।”