• বিশ্বকাপ বাছাই
  • " />

     

    সাংবাদিকদের বর্জন করবেন মেসিরা!

    সাংবাদিকদের বর্জন করবেন মেসিরা!    

    ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনা ২৩ জনই সংবাদ সম্মেলনে হাজির। এতেই হয়ত অনেকে বুঝে নিয়েছিলেন কোথাও কিছু একটা গড়বড় হয়েছে! এমনিতে তো এক বা দুইজনের বেশি আসার কথা নয়। এরপর আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি যা বললেন, তাতে তো সবার বিস্মিত হয়েছেন। পুরো আর্জেন্টিনা দলের কেউই নাকি ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের সাথে কোন কথাই বলবেন না!

     

    কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত মেসিদের? ঘটনার সূত্রপাত ম্যাচে আগের রাতে। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে দলে রাখা হয়নি এজেকিয়েল লাভেজ্জিকে। এরপরেই আর্জেন্টাইন প্রতিবেদক গ্যাব্রিয়েল আনেল্লো টুইটে লাভেজ্জির বিরুদ্ধে ধূমপানের অভিযোগ এনেছিলেন, “লাভেজ্জি কাল দলে নেই। এটা কি রাতে ক্যাম্পে গাঁজা সেবন করার জন্য? আমি শুধু বলছি আর কী!” এই মন্তব্যের পরেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হাবেই চায়না ফরচুন স্ট্রাইকার।

     

                                                        লাভেজ্জিকে নিয়েই যত গণ্ডগোল

     

    আজ ম্যাচের পর অধিনায়ক মেসি নিজেই প্রতিবাদ করেছেন ওই মন্তব্যের। সংবাদ সম্মেলনে এসে দলের পক্ষ থেকে জানিয়েছেন ভবিষ্যতে আর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবে না তাঁর দলের কেউ, “আমরা এখানে আপনাদের জানাতে এসেছি, আমরা আজ থেকে সংবাদমাধ্যমের সাথে কোন যোগাযোগ করবো না। লাভেজ্জির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা অনেক গুরুতর। এরকম কিছু করার জন্য আমরা দুঃখিত কিন্তু এছাড়া আর উপায় ছিল না।”

     

    প্রায়শই মিডিয়ার নানান সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হয় ফুটবলারদের। এসব নিয়ে এবার ভালোমতোই চটেছেন মেসি, “আপনাদের অনেকেই ফুটবল খেলেননি। আমরা অনেক বেশি সমালোচনার শিকার হই। আমাদের কোন সম্মান প্রদর্শন করা হয় না, তবুও আমরা কিছুই বলিনি। কিন্তু লাভেজ্জির বিরুদ্ধে অভিযোগটা সহ্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। আমরা জানি আপনারা সমালোচনা চালিয়ে যাবেন, সমস্যা নেই। অনেকেই আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়েও কথা বলছেন।”

     

    ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে কথা বলাটা একেবারেই পছন্দ হয়নি আর্জেন্টাইন অধিনায়কের, “আমরা সবার সামনে বলতে চেয়েছিলাম কথাগুলো, কোন প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নয়। আমরা কারো কাছে কিছু লুকাতে চাইনি। গত দুই সপ্তাহে ফুটবলের চেয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ বেশি হয়েছে। হার-জিতের জন্য আপনারা সমালোচনা করতে পারেন, কিন্তু যদি আপনারা ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলান তাহলে আমরা একটা সীমারেখা টেনে দেবো।”