ঘরের মাঠেও বিবর্ণ চট্টগ্রাম
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা ডায়নামাইটস ২০ ওভারে ১৪৮/৯ ( মোসাদ্দেক ৩৫, মারুফ ৩৩, নাসির ২০; মিলস ২৫/৩, নবী ১৮/৩, ইমরান ২৩/১)
চিটাগং ভাইকিংস ২০ ওভারে ১২৯/৮ (তামিম ২৬, মাহমুদুল ২০, এনামুল ১৭; শহীদ ২৩/৩, কোলস ২৩/১, ব্রাভো ২৫/১)
ফলঃ ঢাকা ডায়নামাইটস ১৯ রানে জয়ী।
ছিল পূর্ণ গ্যালারির অকুণ্ঠ সমর্থন। ছিল ঘরের ছেলে তামিম ইকবালের সম্মোহনী আকর্ষণ। কিন্তু তবুও কিছুতেই কেন যেন পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বেরুতে পারছে না চিটাগং ভাইকিংস। আজ বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে ১৯ রানে হেরে গেছে চট্টগ্রাম। এ নিয়ে টানা চারটি ম্যাচ হারলো বন্দর নগরীর দলটি।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৪৮ রান করে ঢাকা ডায়নামাইটস। মেহেদী মারুফ ও কুমার সাঙ্গাকারার ব্যাটে তাদের ইনিংসের সূচনা হয়েছিল দুর্দান্ত। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ২৯ বলে ৪১ রানের জুটি। ২০ বলে ৩৩ রান করেন মারুফ। তাঁর ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ১টি ছক্কা।৪১ রানের মাথায় তিনি ফিরে যাওয়ার পর ক্রিজে আসেন নাসির হোসেন। টাইমাল মিলসের করা দশম ওভারে জোড়া ধাক্কা খায় ঢাকা। ২০ রান করে নাসির ও ১৭ রান করে সাঙ্গাকারা ফিরে যান। এরপর মোসাদ্দেক হোসেন ছাড়া অন্য কেউ দাঁড়াতে না পারায় সংগ্রহটি দেড়শো ছাড়াতে পারেনি ঢাকা ডায়নামাইটসের। ২৬ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন মোসাদ্দেক। দলীয় ১৩৮ রানের মাথায় তিনিও হন টাইমাল মিলসের শিকার। মজার ব্যাপার হলো, এবারের বিপিএলে চারটি ইনিংস খেলে এবারই প্রথম আউট হয়েছেন মোসাদ্দেক। ৫ ম্যাচে তাঁর ব্যাটিং গড় দাঁড়িয়েছে ১৫২। মিলস ছাড়াও ৩টি উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ নবী। ৫ ম্যাচে ১০টি উইকেট পেয়েছেন চট্টগ্রামের এই আফগান স্পিনার, ১১ উইকেট নিয়ে তাঁর ওপরে শুধু মোহাম্মদ শহীদ ।
১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চিটাগং ভাইকিংসের সূচনা হয় মন্থর। ৩৫ বলে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন তামিম ইকবাল। অন্যদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান ২০ ও এনামুল হক ১৭ রান করেন। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার মোহাম্মদ শহীদ। এই জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচে চার জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। সমান সংখ্যক ম্যাচে মাত্র ১টি জয় নিয়ে সাত দলের মধ্যে ষষ্ঠ চিটাগং ভাইকিংস।