আবারও জয়ের রথে রংপুর
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রাইডার্স ২০ ওভারে ১৭৫/৬ (মিঠুন ৬২, ডসন ৪৬, আফ্রিদি ২২; তাইজুল ২৭/২, থিসারা ৩১/২, এমরিট ২৫/১)
বরিশাল বুলস ১৯.৪ ওভারে ১৬৩ (জীবন ৫৭, নাদিফ ৪১, থিসারা ১৭; গাজী ১৯/৩, আফ্রিদি ৩১/২, রুবেল ৩৬/২)
ফলঃ রংপুর রাইডার্স ১২ রানে জয়ী।
টি-টোয়েন্টির দারুণ একটি বিজ্ঞাপন হতে পারে আজকের রংপুর রাইডার্স বনাম বরিশাল বুলসের মধ্যকার ম্যাচটি। রংপুরের দেয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে অনেকবার ওঠানামা করলো বরিশালের ইনিংস। কখনো মনে হচ্ছিল বরিশাল জিতে যাবে, কখনো মনে হচ্ছিল রংপুর। রোলার কোস্টারের মতো দুই পক্ষের এই ওঠা-নামাতেই ছড়ালো রোমাঞ্চ। জীবন মেন্ডিস ও নাদিফ চৌধুরীর দুর্দান্ত দুটি ইনিংসের পরও শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছে রংপুরেরই। আজ বরিশাল বুলসের বিপক্ষে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ ১২ রানে জিতে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে নাঈম ইসলামের দল।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রংপুর রাইডার্সের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আল-আমিন জুনিয়রকে টানা তিনটি চার মেরে আক্রমণের সূচনা করেছিলেন ওপেনার সৌম্য সরকার। কিন্তু তাইজুল ইসলামের বলে দারুণ একটি স্টাম্পিং করে তাঁকে দ্রুতই ফিরিয়ে দেন মুশফিকুর রহিম। এরপর মোহাম্মদ শেহজাদকেও ফিরিয়ে দেন তাইজুল। তৃতীয় উইকেটে ৬২ বলে ৭৮ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে তোলেন মোহাম্মদ মিঠুন ও লিয়াম ডসন। ৪৪ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৬২ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন মিঠুন। ৬টি চারের সাথে এতে ছিল ২টি ছক্কাও। ১৫তম ওভারে থিসারা পেরেরার বলে বোল্ড হয়ে ডাগ আউটে ফিরে যাওয়ার আগে দলকে বড় একটি স্কোরের দিকেই নিচ্ছিলেন মিঠুন। তিনি ফিরে যাওয়ার পর সেই কাজটা নিজের কাঁধে নেন ডসন। শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে মাত্র ১৭ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়ে তোলেন তিনি। ১০ বলে ২২ রানের দারুণ একটি ক্যামিও ইনিংস খেলেন আফ্রিদি। যাতে ১টি চারের সঙ্গে ছিল দুটি ছক্কা। পরপর দুই ওভারে তাঁরা ফিরে গেলে রংপুরের ইনিংস থামে ঠিক ১৭৫ রানে। বরিশাল বুলসের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম ও থিসারা পেরেরা।
জশুয়া কবের পরিবর্তে আজ বরিশাল বুলসের হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন দিলশান মুনাবীরা। প্রথম ওভারেই তাঁকে ফিরিয়ে দেন সোহাগ গাজী। এক ওভার পর আবারও আঘাত হানেন সোহাগ। এবারে তাঁর শিকার দারুণ ধারাবাহিক শাহরিয়ার নাফীস। এরপর দলীয় ৪৮ রানে মুশফিকুর রহিম স্টাম্পড হয়ে ফিরে গেলে মনে হচ্ছিল আজ বোধহয় বেশিদূর যাওয়া হবে না বরিশালের। কিন্তু এরপরই দারুণ চমক হয়ে আসেন জীবন মেন্ডিস ও নাদিফ চৌধুরী। গত ম্যাচের ম্যাচসেরা ডেভিড ম্যালানের পরিবর্তে জীবন মেন্ডিসের দলে অন্তর্ভুক্তি এসেছিল দারুণ চমক হয়ে। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ৫৭ রান করে ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি। তবে তিনি নন, বরিশালের হয়ে মূল আক্রমণটা চালিয়েছেন নাদিফ চৌধুরী। ২৫ বলে ৪১ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। সচিত্র সেনানায়েকের ওপর দিয়েই তাঁর ঝড়টা মূলত গেছে। শ্রীলঙ্কান এই স্পিনারের করা ১৪তম ওভারে তিনটি ছক্কা মারেন নাদিফ। ওই ওভারে মোট ওঠে ২৪ রান। তাঁরা দুজন চতুর্থ উইকেটে ৫০ বলে ৭৪ রান। তাঁরা দুজনই শিকার হন শহীদ আফ্রিদির। রংপুরের হয়ে সোহাগ গাজী ৩টি এবং শহীদ আফ্রিদি ও রুবেল হোসেন নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।