নবী-তাসকিনে ঘুরে দাঁড়ালো চট্টগ্রাম
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগং ভাইকিংস ২০ ওভারে ১৯০/৫ (নবী ৮৭*, এনামুল ৫০, স্মিথ ৩৪; সামিত ২১/২, মিরাজ ১৮/১, ফরহাদ ৪৪/১)
রাজশাহী কিংস ২০ ওভারে ১৭১/৯ (সাব্বির ৪৬, জুনায়েদ ৩৮, মুমিনুল ২১; তাসকিন ৩১/৫, ইমরান ২৮/২, এলিয়ট ২৩/১)
ফলঃ চিটাগং ভাইকিংস ১৯ রানে জয়ী।
ঘরের মাঠে অবশেষে ঘুরে দাঁড়ালো চিটাগং ভাইকিংস। শুরুতে মোহাম্মদ নবী ও শেষে তাসকিন আহমেদের ব্যাট-বলে অনন্য পারফরম্যান্সে এবারের বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে তামিম ইকবালের দল। আজ রাজশাহী কিংসকে তারা হারিয়ে দিয়েছে ১৯ রানে।
প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণ শানানো শুরু করেন চিটাগং ভাইকিংসের ওপেনার ডোয়েইন স্মিথ। রাজশাহীর বোলার ফরহাদ রেজাকে চার বলে মারেন তিনটি চার। কিন্তু পরের ওভারে তাঁর ওপেনিং সঙ্গী তামিম ইকবালকে মেহেদী মিরাজ ফিরিয়ে দিলে খানিকটা ধীর হয়ে যায় চট্টগ্রামের রানের গতি। ১৯ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো একটি সূচনা এনে দিয়ে আবুল হাসান রাজুর বলে বোল্ড হয়ে যান স্মিথ। এরপর গ্রান্ট এলিয়ট ও জহুরুল ইসলাম দ্রুতই ফিরে গেলে মনে হচ্ছিল বেশি দূর যেতে পারবে না চট্টগ্রাম।১১ ওভার শেষে তাদের রান ছিল মাত্র ৭৪। কিন্তু তখনও যে বাকি মোহাম্মদ নবীর ব্যাটিং জাদু! তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন এনামুল হক বিজয়। দুজন মিলে পঞ্চম উইকেটে ৫৫ বলে গড়ে তোলেন ১০৫ রানের মহাবিস্ফোরক এক জুটি। তাতে আক্রমণের মূল দায়িত্বটা পালন করেন নবী-ই। ৩৭ বলে ৮৭ রানের দুর্ধর্ষ এক ইনিংস খেলেন এই আফগান ব্যাটসম্যান। ৬টি চার ও ৬টি ছক্কা মারা এই ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট ছিল ২৩৫.১৩! ৪০ বলে ৫০ রান করেন এনামুল হক বিজয়। তাঁদের সুবাদে শেষ পর্যন্ত চিটাগংয়ের রান গিয়ে দাঁড়ায় নিজেদের বিপিএল সর্বোচ্চ ১৯০ রানে। রাজশাহীর পক্ষে সর্বোচ্চ ২১ রানে ২ উইকেট নেন স্পিনার সামিত প্যাটেল।
১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহীকে দারুণ এক সূচনা এনে দেন মুমিনুল হক ও জুনায়েদ সিদ্দিকি। প্রথমবারের মতো এবারের বিপিএলে খেলতে নেমেই ২৮ বল ৩৮ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন জুনায়েদ। রাজশাহীর এই ঘরের ছেলে ১টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৩টি ছক্কাও। ১৪ বলে ২২ রান করেন মুমিনুল। তাঁর মারা ৪টি চারের প্রতিটিই ছিল অফ স্পিনার মাহমুদুল হাসানের বলে। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে মাহমুদুলকে টানা ৪টি চার মারেন তিনি। তাঁরা ফিরে গেলে আক্রমণের দায়িত্ব নেন সাব্বির রহমান ও উমর আকমল। ৩০ বলে রাজশাহীর ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন সাব্বির। ১টি চারের সঙ্গে এতে ছিল চার-চারটি ছক্কাও। এ নিয়ে এবারের বিপিএলে সাব্বিরের ছক্কা দাঁড়ালো ১৩টিতে। এটাই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ১২ বলে ২১ রান করেন উমর আকমল। শেষের দিকে ৭ বলে ১৪ রান করেন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। ৩১ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটাই তাসকিনের প্রথম পাঁচ উইকেট।