ইংল্যান্ডের সকালের পর সারা দিন ভারতের
ভারত ১ম ইনিংস ৪৫৫ (কোহলি ১৬৭, পূজারা ১১৯, অ্যাণ্ডারসন ৩/৬২, মঈন ৩/৯৮ )
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ১০৩/৫ (রুট ৫৩, অশ্বিন ২/২০)
প্রভাত দেখেই নাকি দিনের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। কিন্তু অমন একটা সকালের পর বিষণ্ণ সারা দিন অপেক্ষা করছে, সেটা কি ইংল্যান্ড ভেবেছিল? বিশাখাপত্তম টেস্টটা নিজেদের মুঠোয় নিয়ে আসছে ভারত, আবার সেই নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে হলে ইংল্যান্ডকে এখন অতিমানবীয় কিছুই করতে হবে। দ্বিতীয় দিন শেষে এখনো ইংল্যান্ড ৩৫২ রানে পিছিয়ে, কিন্তু উইকেট হারিয়ে ফেলেছে পাঁচটি। তার চেয়েও বড় কথা, ক্রমশ খারাপ হতে থাকা উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে যে ব্যাট করতে হবে ইংল্যান্ডকেই।
অথচ সকালের শুরুটা স্বপ্নের মতো হয়েছিল ইংল্যান্ডের। আগের দিনের সঙ্গে ১৬ রান যোগ করেই ১৬৭ রানে ফিরে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। আরও ১২ রান যোগ করতে ৫ ওভারের মধ্যে আউট ঋদ্ধিমান সাহা ও রবীন্দ্র জাজেদা। ৩৬৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ভারত হঠাৎ করেই বিপদে।
সেই বিপর্যয় থেকে দলকে টনে তুললেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অভিষিক্ত জয়ন্ত যাদব। অষ্টম উইকেটে দুজন যোগ করলেন ৬৪ রান। অশ্বিন তো এখন পুরোপুরি অলরাউন্ডারই বনে গেছেন, আজ থেমেছেন ৫৮ রান করে। যাদব করেছেন ৩৫ রান, শেষ পর্যন্ত ৪৫৫ রানে অলআউট হয়েছে ভারত।
পরে ফিল্ডিং করতে নেমে ভারতকে স্বপ্নের শুরু এনে দিয়েছেন পেসার মোহাম্মদ শামি। মাত্র তৃতীয় ওভারেই মাত্র ২ রানেই ছত্রখান করে দিয়েছেন অ্যালিস্টার কুকের অফস্টাম্প। এরপর হাসিব হামিদের সঙ্গে একটু একটু করে দলকে টেনে তুলছিলেন জো রুট। কিন্তু তরুণ ইংলিশ ওপেনার হামিদের শেষটা হয়েছে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, দুই রান নিতে গিয়ে আউট হয়ে ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। রুট অবশ্য অন্য প্রান্তে দারুণ খেলছিলেন, পাল্টা আক্রমণে জেরবার করে রাখছিলেন ভারতীয় বোলারদের। কিন্তু অন্য প্রান্তে ধুঁকতে থাকা বেন ডাকেট ফিরে গেছেন ৪ রানে। রুটও বেশিক্ষণ থাকেননি, অশ্বিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন। ৮০ রানে মঈন আলী যাদবের প্রথম টেস্ট উইকেটের শিকার হলে বিপদেই পড়ে যায় ইংল্যান্ড।
ভাগ্য পক্ষে না থাকলে সেটা আরও বাড়তে পারত। যাদবের বল একবার বেলে লেগেও আউট হওয়া থেকে বেঁচে গেছেন স্টোকস, আরেকবার রিভিউ থেকে পার পেয়ে গেছেন। বেয়ারস্টোর সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন জুটিটা ২৩ রানের, কিন্তু সেটা কাল আরও অনেক দূর নিয়ে যেতে হবে ইংল্যান্ডকে।