• ভারত-ইংল্যান্ড
  • " />

     

    আবারো ইংল্যান্ডের সামনে বাধা কোহলি

    আবারো ইংল্যান্ডের সামনে বাধা কোহলি    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    ভারত ৪৫৫, ৯৮/৩( কোহলি ৫৬*, ব্রড ৬/২)

    ইংল্যান্ড ২৫৫ ( স্টোকস ৭০, অশ্বিন ৬৭/৫)


    বিরাট কোহলিকে আটকানোর কোন উপায়ই যেন খুঁজে পাচ্ছেন না অ্যালিস্টার কুক। প্রথম ইনিংসের পর আবারো তাঁর ব্যাটিং দৃঢ়তায় ভারতে সুবিধাজনক অবস্থায় নিয়ে গিয়েছে। তৃতীয় দিনশেষে ২৯৮ রানে এগিয়ে আছে তারা, হাতে আছে ৭ উইকেট।  ম্যাচে ফিরতে অবিশ্বাস্য কিছুই করে দেখাতে হবে ইংলিশদের।

     

    গতকাল ইংল্যান্ডের ব্যাটিং বিপর্যয় প্রাথমিকভাবে সামাল দিয়েছিলেন বেন স্টোকস ও জনি বেইরস্টো। আজ সকাল থেকেই পিচ খানিকটা ধীরগতির হয়ে উঠেছিল। শামি, যাদবদের বল মাঝে মাঝে নিচু হয়েই আসছিল। মাঝে সাঝে অপ্রত্যাশিতভাবে দু-একটা বল লাফিয়েও উঠছিল! এসব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে দুজন দারুণ ব্যাটিং করেছেন। এবছর এই জুটি ৭৭২ রান করেছে, যা কিনা অন্য যেকোনো জুটির চেয়ে বেশি! ১১০ রানের জুটি গড়ার সময়ে দুজনেই তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। উমেশ যাদবের বলে বেইরস্টো আউট হলে ভাঙ্গে দারুণ এক জুটি।

    এরপরেই শুরু অশ্বিনের ঘূর্ণিজাদুর। ইংল্যান্ডের লেজকে গুটিয়ে দিয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২২তম ৫ উইকেট। এর ফলে আরেকটি অনন্য রেকর্ডের অধিকারী হয়ে গেলেন এই ডানহাতি স্পিনার। সব টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষেই এক ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২৫৫ রানে থামে ইংলিশদের ইনিংস, ভারত লিড পায় ২০০ রানের।

     

    কুকদের সামনে বড় লক্ষ্য দাঁড় করানোর জন্য ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ভারত। স্টুয়ার্ট ব্রডের দুর্দান্ত এক স্পেলে দুই ওপেনারকে হারায় ভারত। মুরালি বিজয় এবং লোকেশ রাহুল দুজনের আউটই রিভিউয়ের মাধ্যমে পেয়েছে ইংলিশরা। ব্রডের বল বিজয়ের ব্যাটে লেগে রুটের হাতে তালুবন্দি হলেও আম্পায়ার হাত তোলেননি, রিভিউতে স্পষ্ট দেখা যায় বল ব্যাটের কানায় লেগেছিল। তাঁর পরের ওভারে রাহুলের ব্যাট ছুঁয়ে উইকেটকিপারের হাতে বল গেলেও সাড়া দেননি আম্পায়ার। হাসিব হামিদের কথায় রিভিউ নেন কুক, সাফল্যও আসে তাতে। ৬ ওভারের মাঝে ৫ টিতেই কোন রান দেননি ব্রড। জিমি অ্যান্ডারসন যখন পুজারাকে ফেরান, মনে হচ্ছিল দারুনভাবেই ম্যাচে ফিরতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড।

     

    কিন্তু কোহলি সেটা হতে দেন কী করে! প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর এবারো দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন ব্রড, মঈন আলিদের সামনে। দারুণ ব্যাটিং করে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৩ তম হাফ সেঞ্চুরি। রাহানেকে সাথে নিয়ে দিনের বাকি সময়টা বিপদ ছাড়াই পার করে দেন। কপালে চিন্তার ভাজ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় কুকদের।