টানা চতুর্থ জয়ে শীর্ষে খুলনা
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইটানস ২০ ওভারে ১৫১/৭ (মাহমুদউল্লাহ ৪৪, ওয়েসেলস ৪০, আরিফুল ২৬*; তাইজুল ১৮/৩, এমরিট ৩০/১, রুম্মান ৩২/১)
বরিশাল বুলস ১৯.৩ ওভারে ১২৯ (মুশফিক ৩৫, নাফীস ২৮, জীবন ২১; শফিউল ১৭/৪, মোশাররফ ২৪/২, জুনায়েদ ২৯/২)
ফলঃ খুলনা টাইটানস ২২ রানে জয়ী।
লড়াইটা ছিল পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় ও চতুর্থ দলের মধ্যে। মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্সে জয়ী হলো তৃতীয় দলটিই। তবে তারা আর আটকে থাকলো না তৃতীয় হয়ে। ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় নিয়ে রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ডায়নামাইটসকে টপকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে খুলনা টাইটানস।
খেলার মাঝপথে টিভি ক্যামেরা একবার স্থির হলো ঘাসভরা মাঠে। মুক্তোর দানার মতো মাঠজুড়ে ছড়িয়ে আছে শিশির বিন্দু। তা দেখেই হয়তো টসে জিতে পরে ব্যাটিং নিলেন মুশফিকুর রহিম। অথচ চট্টগ্রামে পর্বে হওয়া আগের ছয়টি ম্যাচে মাত্র একবারই জিতেছিল পরে ব্যাটিং করা দল।
অবশ্য মুশফিকের সিদ্ধান্তকে শুরুতে সঠিকই প্রমাণ করেছিলেন তাইজুল ইসলাম। খুলনার প্রথম দুটি উইকেট তুলে নেন তিনি। দুর্দান্ত বল করেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। দুই ওপেনারের সঙ্গে তুলে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহর মহামূল্যবান উইকেটটিও।
দলের প্রাণভোমরার মতোই ব্যাট করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাত্র ২৬ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। চারের চেয়ে যাতে ছক্কাই বেশি। ২টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৩টি ছক্কা। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন টাইটানসের অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান রিকি ওয়েসেলস। কেপলার ওয়েসেলস তনয় ২৯ বলে করেছেন ৪০ রান। দুজন মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়ে তোলেন ৫৩ রানের জুটি। দলীয় ৭৭ রানে মাহমুদউল্লাহ আউট হয়ে ফিরে গেলে হাল ধরেন রিকি। ১২৫ রানের মাথায় তাঁকেও এমরিট ফিরিয়ে দিলে ২২ বলে অপরাজিত ২৬ রানের একটি ইনিংস খেলে খুলনার সংগ্রহকে একটি ভদ্রস্থ রূপ দেন আরিফুল হক।
১৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা আত্মবিশ্বাস দেখা যায়নি বরিশাল বুলসের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে। ওপেনার জীবন মেন্ডিস চেষ্টা করেছিলেন ঝেড়ো সূচনা এনে দিতে। কিন্তু তাঁকে শফিউল ইসলাম ফিরিয়ে দিলে ধীর হয়ে যায় বরিশালের রানের গতি। এই বৃত্ত ভাঙতে গিয়ে দ্রুতই ফিরে যান শামসুর রহমান, শাহরিয়ার নাফীস ও থিসারা পেরেরা। ২৩ বলে ৩৫ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু দলীয় ৯৮ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি ফিরে গেলে ফিকে হয়ে যায় বরিশালের জয়ের স্বপ্ন। শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরা বড় শট খেলতে গিয়ে একে একে ধরা পড়েন খুলনার ফিল্ডারদের বিশ্বস্ত হাতে। মাত্র ১৭ রানে বরিশালের ৪ উইকেট নিয়ে শফিউল ইসলাম নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। ৬ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে তিনিই এবারের বিপিএলের শীর্ষ উইকেট শিকারি। সমান ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে তাঁর পেছনের আছেন ঢাকা ডায়য়ামাইটস পেসার মোহাম্মদ শহীদ।