• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    আবারও ঢাকার হন্তারক সামিত

    আবারও ঢাকার হন্তারক সামিত    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    ঢাকা ডায়নামাইটস ২০ ওভারে ১৮২/৪ (সাঙ্গাকারা ৬৬, মারুফ ৩৫, প্রসন্ন ৩৪*; ফরহাদ ২২/২, সামি ২০/১, রাজু ৪৪/১)

    রাজশাহী কিংস ১৯.৫ ওভারে ১৮৪/৭ (সামিত ৭৫, মুমিনুল ৫৬, আকমল ১২; ব্রাভো ৩৫/৩, শহীদ ২৯/২, কোলস ৩৫/১)

    ফলঃ রাজশাহী কিংস ৩ উইকেটে জয়ী।

     


     

    ঢাকা ডায়নামাইটসকে প্রিয় প্রতিপক্ষ বললে হয়তো আপত্তি করবেন না সামিত প্যাটেল। আপত্তি করবেন না রাজশাহী কিংসের কেউই। এই ঢাকার বিপক্ষেই তো জ্বলে ওঠে রাজশাহী। জ্বলে ওঠেন সামিত প্যাটেলও। ঢাকার বিপক্ষেই তো ম্যাচসেরা হয়ে দলকে জিতিয়েছিলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। আজও ঢাকার বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন সামিত। তাঁর ও মুমিনুল হকের কৃতিত্বেই আজ চট্টগ্রামে ঢাকার দেয়া ১৮৩ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে রাজশাহী। এবারের বিপিএলে যা সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড।

    এবারের বিপিএলকে যেন এক রঙ্গমঞ্চ হিসেবে নিয়েছেন মেহেদী মারুফ। প্রতি ম্যাচে যেখানে তিনি নিজেকে চেনাচ্ছেন নতুন করে। আজও ২৫ বলে ৩৫ রান করেছেন ঢাকা ডায়নামাইটস ওপেনার। ৭ ম্যাচে ২৪৪ রান নিয়ে তিনি এখন বিপিএলের শীর্ষ রান সংগ্রাহক। শুধু তাই নয় ১৩টি ছক্কা নিয়ে সাব্বির রহমানের সঙ্গে এখন পর্যন্ত যৌথভাবে সর্বোচ্চ ছক্কা মারার রেকর্ডটিও তাঁর। আজ কুমার সাঙ্গাকারার সঙ্গে ওপেনিংয়ে ৭১ রানের জুটি গড়ে তুলেছিলেন ২৮ বছর বয়সী এই ওপেনার। আবুল হাসান রাজু তাঁকে সাব্বির রহমানের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়ে দিলেও অন্যপ্রান্তে মহীরূহের মতো দাঁড়িয়ে যান সাঙ্গাকারা। ৪৬ বলে ৬৬ রান করেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি। ১২১ রানের মাথায় তিনি ফিরে গেলে দলের হাল ধরেন সেকুগে প্রসন্ন ও সাকিব আল হাসান। খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে যেখানে থেমেছিলেন। সেখান থেকেই যেন আজ শুরু করেছেন প্রসন্ন। ১৬ বলের ইনিংসে ২টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। ৩ চারে ১২ বলে ১৮ রান করেন ঢাকা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

    ১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই জুনায়েদ সিদ্দিকীর উইকেট হারিয়ে বসে রাজশাহী কিংস। এরপর ৩১ রানের মাথায় সাব্বির রহমান ফিরে গেলে মনে হচ্ছিল খানিকবাদেই বালির বাঁধের মতো ধসে পড়বে রাজশাহীর ইনিংস। কিন্তু ক্রিজে যে তখনো ছিলেন সামিত প্যাটেল ও মুমিনুল হক। এই ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ম্যাচেই ম্যাচসেরা হয়েছিলেন সামিত। আজও বোধহয় ব্যাট হাতে নামার সময় সে ম্যাচের স্মৃতি তাঁকে প্রেরণা জুগিয়ে থাকবে। আর তাতেই যেন তেতে উঠলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। মাত্র ৩৯ বলে ৭৫ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলেছেন সামিত। যাতে ছিল ৫টি চার ও ৬টি বিশাল ছক্কা। মুমিনুল হকের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ১০০ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন। ৪২ বলে ৫৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন মুমিনুল। ৮ চারের সঙ্গে যাতে ছিল একটি ছক্কাও। কিন্তু পর পর দুই ওভারে তাঁরা ফিরে গেলে হঠাৎ যেন চোরাবালি ঘিরে ধরে রাজশাহীকে। সেখান থেকে শেষ ওভারে ফরহাদ রেজা ও মেহেদী হাসান মিরাজের বীরত্বে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নেয় রাজশাহী।