"ও ছোটখাট হলেও আজ অনেক উঁচুতে নিয়ে গেছে"
ম্যাচ শেষ হতেই অবিশ্বাসে চোখ ঢাকলেন। ড্যারেন স্যামির বিহবল হাসি বলে দিচ্ছিল, আরেকটি পরাজয়ই হয়তো নিয়তি মেনে নিয়েছিলেন। আগের দুই বার জয় পেতে পেতেও যে রাজশাহী কিংসের মুঠো ফসকে গেছে। আরেকবার তো সেটি প্রায় হাত থেকে বেরিয়েই গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মিরাজ রাজশাহীকে এনে দিয়েছেন রুদ্ধশ্বাস একটি জয়। সেজন্য স্যামি আলাদা করে মুমিনুলের নামই বলেছেন।
এমনিতে এই ম্যাচে রাজশাহীর কঠিন হয়ে যাওয়া জয়টা পাইয়ে দিয়েছেন সামিত প্যাটেলই। ঢাকা ডায়নামাইটসের সঙ্গে ব্যাট হাতে আজও খেলেছেন ৩৯ বলে ৭৫ রানের দুর্দান্ত একটা ইনিংস। তবে শুরুটা করে দিয়েছিলেন মুমিনুলই, প্যাটেলের সঙ্গে তাঁর ১০০ রানের জুটিই পথ দেখিয়েছে রাজশাহীকে। মুমিনুল শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ৫৬ রান করে আউট হয়েছেন।
এবারের বিপিএলে প্রথম ম্যাচেই খেলেছিলেন ৬৪ রানের ইনিংস। আর সর্বশেষ দুই ইনিংসে তো ফিফটিই পেলেন। তিনটি ফিফটির কীর্তি আছে শুধু শাহরিয়ার নাফীসের। "টি-টোয়েন্টিতে অচল"- এমন একটা তকমা নামের সঙ্গে যেন সেঁটে গিয়েছিল। মুমিনুল যেন সমালোচকদের একটা জবাবই দিলেন। স্যামিও তাই এই বাঁহাতি ওপেনারের প্রশংসা করলেন।
ম্যাচ শেষে রাজশাহী অধিনায়ক জানিয়েছেন, আমাদের একটা অলিখিত নীতি ছিল প্রতি জয়ের পর আমরা একজনকে ম্যাচ বল দেব। আজ আমরা সেটা ওকে দিয়েছি।" ম্যাচের শুরুটা খুব ভালো হয়নি মুমিনুলের। সাঙ্গাকারা ও প্রসন্নের দুইটি ক্যাচ ছেড়েছেন। প্রথমটি কঠিন হলেও পরেরটি ধরতে না পারা প্রায় অপরাধই। মুমিনুল যে সেই ক্ষতিটা ব্যাটে পুষিয়ে দিয়েছেন, সেটাই বেশি আপ্লুত করছে স্যামিকে, "ও দুইটা ক্যাচ মিস করেছিল, মানসিকভাবে এটা ওর জন্য একটা ধাক্কাই হতে পারত। কিন্তু সে খুব ভালোভাবে সেটি সামাল দিয়েছে। " এর পর হাতটা দেখিয়ে বললেন, "এমনিতে সে ছোটখাট হতে পারে, কিন্তু আজ নিজেকে অনেক উঁচুতে নিয়ে গেছে। এটা ছিল দারুণ একটা ইনিংস।