রেকর্ড গড়ে চট্টগ্রামের জয়
সংক্ষিপ্ত স্কোর
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ২০ ওভারে ১৮৩/৩ (লতিফ ৭৬, শেহজাদ ৪০*, ইমরুল ৩৬; তাসকিন ৪৪/১)
চিটাগং ভাইকিংস ১৯.২ ওভারে ১৮৬/৪ (নবী ৪৬*, এনামুল ৪০, মালিক ৩৮; ডেসকাটে ১৫/২, তানভির ৩৩/১, মাশরাফি ৩৪/১)
ফলঃ চিটাগং ভাইকিংস ৬ উইকেটে জয়ী
ঢাকার মাঠে যে চিটাগং ভাইকিংস চার ম্যাচে পেয়েছিল এক জয়, তারাই ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দুর্দান্তভাবে। পর পর দুই ম্যাচ জিতে নিজের অবস্থানকে করেছে আরেকটু সংহত। এবারের বিপিএলে রেকর্ড ১৮৩ রান তাড়া করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে। উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ অবস্থানে।
১৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে মোটামুটি দাঁড়িয়ে গেছেন চট্টগ্রামের সব ব্যাটসম্যানই। কিন্তু আলাদা করে বলতেই হয় মোহাম্মদ নবীর নাম। রাজশাহীর বিপক্ষে ম্যাচের পর আজও ম্যাচসেরা হয়েছেন অপরাজিত ৪৬ রান করা নবী। ইনিংসের শেষ পাঁচ বলে ১৮ রান নিয়ে কুমিল্লার সবটুকু আশা কেড়ে নেন এই আফগান ব্যাটসম্যান। এই নিয়ে এবারের বিপিএলে চট্টগ্রামের জেতা তিনটি ম্যাচেই ম্যাচসেরা হলেন আফগান অলরাউন্ডার। ৭ ম্যাচে নবী ১৯২ রান করার পাশাপাশি নিয়েছেন ১১টি উইকেটও। এভাবে খেললে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার লড়াইয়ে তিনি যে সামনের দিকে থাকবেন তা বলে দেয়াই যায়।
অথচ শুরুতে চিটাগংয়ের সামনে দারুণ একটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল কুমিল্লা। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। মূলত দলের তিন ব্যাটসম্যানের অনবদ্য পারফরম্যান্সেই তাঁর দল পায় দাঁড়ানোর শক্ত ভিত্তি। ৫৩ বলে ৭৬ রান করে যাতে মূল অবদান পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান খালিদ লতিফের। ৬টি চারের পাশাপাশি এতে ছিল ৫টি ছক্কা। দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুল কায়েসের সঙ্গে লতিফ গড়ে তোলেন ৪৮ বলে ৬৮ রানের জুটি।দলীয় ৯৭ রানের মাথায় ইমরুল রান আউট হয়ে ফিরে গেলে আহমেদ শেহজাদের সঙ্গে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন লতিফ। দুজন মিলে যোগ করেন ৪১ বলে ৭০ রান। উনিশতম ওভারের শেষ বলে লতিফ রান আউট হলেও ২৫ বলে ৪০ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন শেহজাদ। শেষ পর্যন্ত কুড়ি ওভারে ১৮৩ রানে গিয়ে থামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ইনিংস। কিন্তু চিটাগং ভাইকিংসের ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় সেটা যথেষ্ঠ হয়নি।