তিন বিদেশীতে ছুটছে চট্টগ্রাম
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগং ভাইকিংস ২০ ওভারে ১৮৫/৫ (স্মিথ ৬৯, মালিক ৬৩, তামিম ১৯; রাব্বি ২৯/২, পেরেরা ৩৭/২, এমরিট ৪১/১)
বরিশাল বুলস ১৮.৪ ওভারে ১০৭ (এনামুল ৪২*, মুশফিক ১৯, তাইজুল ১২; নবী ১৬/৩, শুভাশিস ১৬/২, তাসকিন ২০/২)
ফলঃ চিটাগং ভাইকিংস ৭৮ রানে জয়ী
ব্যাট হাতে মোহাম্মদ নবী তেমন কিছু করতে পারেননি। মাত্র ৪ রান করে আউট হয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে। কিন্তু চিটাগং ভাইকিংস জিতবে কিন্তু নবী কিছু করবেন না, তা হয় নাকি! এবারের বিপিএলকে যে নিজের করে নিয়েছেন আফগান অলরাউন্ডার। তাই বল হাতে ঠিকই জ্বলে উঠলেন তিনি। সেটা এমনই যে প্রথম ওভারেই নিয়েছেন দুটি উইকেট। তাও আবার বরিশাল বুলসের দুই ওপেনারের। এরপর তিনি নেন আরও ১টি উইকেট।তবে নবী নন, আজকের ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের আসল নায়ক শোয়েব মালিক। ব্যাটে-বলে অনন্য খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। মালিক-নবী ও ডোয়েইন স্মিথের অনবদ্য পারফরম্যান্সে আজ বরিশাল বুলসকে ৭৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস।
টসে জিতে চোখ বুজে ব্যাটিং নিয়েছিলেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সিদ্ধান্তটা যে ভুল নয় সেটা যেন প্রমাণের দায়িত্ব নেন তাঁর ওপেনিং সঙ্গী ডোয়েইন স্মিথ। শুরু থেকেই ভীষণ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন এই ক্যারিবীয়। ৪৯ বলে ৬৯ রানের ইনিংসে অবশ্য দুবার ফিল্ডারদের বদান্যতা পেয়েছেন তিনি। তাঁর ক্যাচ ধরতে পারেননি তাইজুল ইসলাম ও ডেভিড ম্যালান। ১৫.৫ ওভারে যখন তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে যান স্মিথ তখন চিটাগং ভাইকিংসের রান ১২৯। সেখান থেকে তারা যে ১৮৫ রানে পৌঁছতে পারলো তাতে মূল অবদান শোয়েব মালিকের। অবিশ্বাস্য বিস্ফোরক ব্যাটিং করেছেন চট্টগ্রামের এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। ৩০ বলে ৬৩ রানের ইনিংসে মেরেছেন ৯টি চার ও ২টি ছক্কা। বলতে গেলে একাই শেষ ৫ ওভারে দলের সংগ্রহে ৫৫ রান যোগ করেন মালিক।
১৮৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৭ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে বরিশাল। দলের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের ছয়জনই পারেননি দুই অংক ছুঁতে। শেষ পর্যন্ত যে মুশফিকুর রহিমের দলের স্কোর একটা ভদ্রস্থ চেহারা পেল তার পেছনে মূল অবদান অভিষিক্ত এনামুল হকের। ৮ম উইকেট জুটিতে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়ে দলকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।